গত বছর মহাবিকাশ আঘাড়ি (এমভিএ) সরকারের পতনের পর থেকেই মহারাষ্ট্রের রাজনীতি রক্তের হোলির মত বইছে। আর, মহারাষ্ট্রের রাজনীতির ক্রমশই যেন মেরুকরণ ঘটে চলেছে। তার মধ্যেও কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা দূরে সরিয়ে সমস্ত তিক্ত আদান-প্রদান উপেক্ষা করে উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ আর তাঁর নতুন অংশীদার অজিত পাওয়ার সুসম্পর্কের বন্ধন বজায় রেখেছিলেন। সম্ভবত যা গত রবিবারের ভূমিকম্পে অগ্রদূতের ভূমিকা নিয়েছে।
২০১৯-এর বিধানসভা নির্বাচনের পরে, তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষাগুলি উপলব্ধি করেই অজিত পাওয়ার গোপনীয়তা বজায় রেখে এক ভোরবেলা মুখ্যমন্ত্রী ফড়নবিশের উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য নতুন গঠিত এমভিএ জোট ত্যাগ করেছিলেন। তবে, বেশিদিন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকতে পারেননি। মাত্র তিন দিন স্থায়ী হয়েছিল তাঁর উপমুখ্যমন্ত্রিত্ব। কিন্তু, পদ গেলেও অজিতের সঙ্গে ফড়নবিশের সম্পর্কে চিড় ধরেনি। জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি)-র কুঠুরিতে অজিত ফিরলেও তা অব্যাহত ছিল। উভয়েই সেই সম্পর্ক রেখেছিলেন।
শিবসেনার বিভাজন নিশ্চিত করে গত বছর ফড়নবিশ ক্ষমতায় ফেরার পর, হয়েছিলেন বিরোধী দলের নেতা। সেই সময়, সরকারের প্রতি নরম মনোভাবের জন্য অজিত পাওয়ার বারবার সমালোচিত হয়েছেন। শুধু তাই নয়, এনসিপির প্রাক্তন মন্ত্রী তথা জেল মুক্তি পাওয়া নেতা অনিল দেশমুখকে ডিসেম্বরে কপ্টারে চাপিয়ে নিয়ে আসার জন্য অজিত পাওয়ার বিরোধী দলেনতার যাবতীয় রীতিনীতি বিসর্জন দিয়েছিলেন। আর, তাঁর ঘনিষ্ঠ তথা মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের স্মরণাপন্ন হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- ওয়াগনার বিদ্রোহের জেরে পুতিনের রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে দ্বিধায় চিন
সেই সময় সমালোচনার মুখে অজিত বিষয়টিকে 'ছোট ব্যাপার' বলে দাবি করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, 'আমি মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডেকে একটি ব্যবসা উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক একদিনের জন্য স্থগিত করার অনুরোধ করেছি। তিনি কারণ জিজ্ঞাসা করলে, আমি তাঁকে মুম্বই যাওয়ার কথা বলেছিলাম (অনিল দেশমুখের সাথে দেখা করতে)। এরপরই তিনি মিটিং এগিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। সঙ্গে জানান, যে আমি চাইলে দিনের শেষে সরকারি কপ্টারে মুম্বই যেতে পারি।'