যে জোট ঘিরে এত ধোঁয়াশা, যে সরকার গঠন নিয়ে এত নাটক, সেই রঙ্গমঞ্চের যবনিকা পতনে আমন্ত্রণ পেলেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীপদে উদ্ধব ঠাকরের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে, এমনটাই জানালেন তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন।
আরও পড়ুন: এনআরসি ভীতিই ভোটে জিতেছে, মমতার বিশ্লেষণে সিলমোহর বিজেপিরও
মুম্বাইয়ের শিবাজী পার্কে ঠাকরে যুগের নয়া সূচনায় তৃণমূলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন কারা, সে প্রশ্নের উত্তরেই ডেরেক বলেন, "শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তবে নোটবন্দিকরণের সময় থেকেই শিবসেনার সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক ছিল। বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতাও করেছে। এমনকী দুই দলের পরবর্তী প্রজন্মের নেতাদের মধ্যেও মিল রয়েছে। তাঁদের মধ্যে যোগাযোগ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।"
আরও পড়ুন: মুকুলের ভূমিকায় সফল মমতা
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্ধব ঠাকরে, এনসিপির প্রধান শরদ পাওয়ার এবং মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের প্রধান এবং মন্ত্রীপদে শপথ গ্রহণ করা বালাসাহেব থোরাটকে টুইট করে অভিনন্দনও জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবারই উদ্ধবের শপথগ্রহণে উপস্থিত থাকার বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে মমতা বলেন, "খুবই সংক্ষিপ্ত সময়ে এই অনুষ্ঠানটি হচ্ছে। ওরা এখনও যোগাযোগ করে উঠতে পারেনি। আমার কাছে সরকারিভাবে এখনও কিছু ইনফরমেশন আসেনি।" উল্লেখ্য, নোটবন্দীকরণের প্রতিবাদ জানাতে ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে এবং জম্মু কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গে একযোগ হয়ে রাষ্ট্রপতি ভবন অভিযানে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ডেরেকের এই মন্তব্যে ফের অন্য রাজনৈতিক রসায়ন দেখছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
Read the full story in English