Dhankhar on P Chidambaram : দেশ জুড়ে কার্যকর হয়েছে তিনটি নতুন ফৌজদারি আইন। আর নতুন এই ফৌজদারি আইনের মধ্য দিয়ে ব্রিটিশ আমলের দাসত্বের অবসান ঘটানো সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেছেন অমিত শাহ। তবে নয়া তিন আইন নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম।
নতুন তিন আইন কার্যকর করা হয়েছে পর্যাপ্ত কোন আলোচনা এবং বিতর্ক ছাড়াই। সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, "দীর্ঘ মেয়াদে তিনটি আইনকে সংবিধান ও ফৌজদারি আইনশাস্ত্রের আধুনিক নীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করতে আরও পরিবর্তন আনতে হবে"।
পাশাপাশি প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতা আরও বলেছেন, "আইনবিশারদ, বার অ্যাসোসিয়েশন, বিচারক ও আইনজীবীরা অসংখ্য সেমিনারে তিনটি নতুন আইনে গুরুতর ত্রুটির কথা তুলে ধরেছেন। সরকারের কেউই এসব প্রশ্নের উত্তর দেয়নি।" চিদাম্বরম বলেন, "সরকার ভিন্নমতের নোটে করা সমালোচনার কোনো জবাব দেয়নি এবং সংসদে কোনো অর্থপূর্ণ বিতর্ক হয়নি"।
এদিকে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের এহেন বক্তব্যের পালটা সরব হয়েছে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। তিরুবনন্তপুরমে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ স্পেস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (আইআইএসটি) দ্বাদশ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময়, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে সংসদে পাস হওয়া তিনটি বিলের বিতর্কে অংশ না নেওয়ার জন্য তিনি নাম না করেই চিদাম্বরমকে নিশানা করেন।
আরও পড়ুন : < Tamil Nadu BSP chief’s murder: বাড়ির সামনেই খুন রাজ্য BSP-প্রধান, গর্জে উঠলেন রাহুল-মায়াবতী, মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস >
ধনখড় বলেন, "দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য আমাকে অবাক করে দিয়েছে। আমি অত্যন্ত গর্বিত যে এই সংসদ একটি মহৎ কাজ করেছে। এটি আমাদের ঔপনিবেশিক আমলের দাসত্ব থেকে মুক্তি দিয়েছে। তিনি যোগ করেছেন যে শুধুমাত্র চিদাম্বরম নয়, অন্যান্য সিনিয়র অ্যাডভোকেট যারা সংসদের সদস্য তারা বিলগুলির উপর বিতর্কের সময় মুখ খোলেন নি"।
চিদাম্বরমের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "আমি এই মঞ্চ থেকে থেকে তার কাছে আবেদন করছি, দয়া করে সাংসদদের প্রতি এই অবমাননাকর, মানহানিকর এবং অত্যন্ত অপমানজনক পর্যবেক্ষণ প্রত্যাহার করুন"।