Jharkhand CM Champai Soren: কেলেঙ্কারি প্রমাণ করলে, রাজনীতি ছেড়ে দেব।' আস্থাভোটে যোগ দিতে ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় এসে চ্যালেঞ্জ হেমন্ত সোরেন। কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগের সপক্ষে নথি পেশের দাবিও জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে রাজভবনের বিরুদ্ধেও সরব হন তিনি। এরপরই আস্থা ভোটে বাজিমাত করেন চম্পাই সোরেন। ৪৭-২৯ ভোটের ব্যবধানে সরকার টিঁকিয়ে রাখেন নয়া মুখ্যমন্ত্রী।
চম্পই সোরেন সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতার আগ্নিপরীক্ষায় সোমবার ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় দু'দিনের বিশেষ অধিবেশন বসে। এদিন আস্থাভোটে যোগ দিতে বিধানসভা ভবনে আসেন ইডি-র হেফাজতে থাকা হেমন্ত সোরেন। আর সেখান থেকেই বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছোঁড়েন সোরেন। ইডি-র উদ্দেশে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'কোনও কেলেঙ্কারি প্রমাণ করলে, রাজনীতি ছেড়ে দেব। কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগের সপক্ষে নথি পেশ করা হোক। গোটা বিষয়টির নেপথ্যে রাজভবনের ভূমিকা আছে। ভয় পেয়ে লড়াইয়ের ময়দান ছাড়ব না। সময়ের চাকা ঘুরবে, আমিও ফের আপনার সামনে হাজির হব।'
একনজরে কী বলেছেন হেমন্ত সোরেন?
- 'বিজেপি ঝাড়খণ্ডে একজন আদিবাসী মুখ্যমন্ত্রীকে ৫ বছরের পূর্ণ মেয়াদ পূরণ করতে দিতে রাজি নয়। ওরা গত ১০ বছরের শাসনকালে এটা করতে দেয়নি।'
- 'বিজেপি যদি প্রমাণ সহ আমার 8 একর জমির মালিকানার রেকর্ড নিয়ে বিধানসভায় আসে আমি ঝাড়খণ্ড ছাড়ব। ওরা আমাকে গ্রেফতার করেছে বলে আমার কোনও দুঃখ নেই। তবে দয়া করে জেনে রাখুন যে, রাজনৈতিকভাবে, আইনানুগ বা অন্যভাবেও আমরা তাদের উপযুক্ত জবাব দেব।'
- 'আমরা হার মানব না। তারা যদি মনে করে আমাকে কারাগারে বন্দী করে তারা সফল হতে পারে, এটাই ঝাড়খন্ড- যেখানে অনেক মানুষ জীবন দিয়েছে। আমি চোখের জল ফেলব না, তবে উপযুক্ত সময়ে সামন্তবাদী শক্তিকে উপযুক্ত জবাব দেব'
- 'আমরা এখনো পরাজয় স্বীকার করিনি। তারা যদি মনে করে আমাকে কারাগারে বন্দী করে তারা সফল হতে পারে, এটাই ঝাড়খন্ড যেখানে অনেক মানুষ জীবন দিয়েছে। আমি চোখের জল ফেলব না, তবে উপযুক্ত সময়ে সামন্তবাদী শক্তি কে উপযুক্ত জবাব দেব।'
- 'এই অন্ধকার রাত দেশের গণতন্ত্রে গভীরভাবে গেঁথে আছে। ৩১শে জানুয়ারি দেশের এক মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় রাজভবনের ভূমিকা ছিল।'
ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় মোট আসন ৮১। ম্যাজিক ফিগার ৪১। মহাজোটের পক্ষে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার ২৯, কংগ্রেস ১৭, আরজেডি-র ১ জন এবং সিপিআই (এমএল)-এর ১ জন, সব মিলিয়ে ৪৮ জন বিধায়কের সমর্থন নয়া মুখ্যমন্ত্রীর দিকে থাকবে বলে আশা করা হয়েছিল। শেষপর্যন্ত আস্থাভোটে চম্পাই সোরেন সরকার পায় ৪৭ ভোট। অন্যদিকে এনডিএ জোটের পক্ষে বিজেপির ২৬-সহ ৩২ জন বিধায়ক রয়েছে বলে মনে করা হয়। কিন্তু বিরোধী জোট পায় ২৭ বিধায়কের সমর্থন।