এত আনন্দ আয়োজন, সবই বৃথা তাঁকে ছাড়া…! যাঁর মগজাস্ত্রের জোরে মহারাষ্ট্রে ৩১ মাসের মধ্যে উদ্ধব ঠাকরের পতন হল (তাঁর অনুগামীদের দাবি), আর তিনি-ই কি না সেই যুদ্ধজয়ের উৎসবে বেপাত্তা! যিনি গত আড়াই বছর ধরে এত দৌড়াদৌড়ি-ছোটাছুটি করলেন, ক্রমাগত উদ্ধব ঠাকরের উপর চাপ বজায় রাখলেন। আজ যখন সেই সরকারের পতন হল, তখন সেই বিজয়োৎসবে গরহাজির দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ। যা নিয়ে কানাঘুষো শুরু হয়েছে। তাহলে কি দলের উপর ক্ষুব্ধ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী?
শুক্রবার নরিম্যান পয়েন্টে দলের সদর কার্যালয়ে বিজয়োৎসবের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। মহারাষ্ট্রের নয়া উপ-মুখ্যমন্ত্রী ফড়ণবিশের উপস্থিতিতেই উৎসবে ভাসার কথা ছিল বিজেপি বিধায়ক-নেতাদের। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে সেই উৎসবে ছিলেন না তিনি। গতকাল ফড়ণবিশ ঘোষণা করেন, তিনি নয়া সরকারের সদস্য হবেন না। কিন্তু পরে নাটকীয় পট-পরিবর্তন হয়। শিণ্ডের ডেপুটি হিসাবে শপথ নেন ফড়ণবিশ। শপথগ্রহণের সময় মুখে উচ্ছ্বাস দেখা যায়নি তাঁর। যা নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন শরদ পওয়ারও।
আরও পড়ুন অমিত শাহ নিজের কথা রাখলে, আজ বিজেপির লোক মুখ্যমন্ত্রী হত: উদ্ধব ঠাকরে
তা হলে কি দলীয় বিজয়োৎসবে না থেকে বিজেপিকে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করলেন ফড়ণবিশ? মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে নয়া গুঞ্জন শুরু হয়েছে নাগপুরের নেতাকে নিয়ে। তবে পাল্টা সাফাই দিয়েছেন ফড়ণবিশ। বলেছেন, নিজের বাসভবনে রবিবার থেকে শুরু হওয়া বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন নিয়ে বৈঠকে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। তাই আসতে পারেননি। কিন্তু দলের কর্মসূচিতে না থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন শিণ্ডের শপথে নেচে-কুঁদে অস্থির বিদ্রোহীরা, গোয়ায় ফিরে ‘সবক’ শেখালেন নয়া মুখ্যমন্ত্রী
শুক্রবার থেকে হায়দরাবাদে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক শুরু হয়েছে। সেখানে কি উপস্থিত থাকবেন ফড়ণবিশ, তা নিয়ে বিজেপির এক নেতা বলেছেন, তিনি জাতীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, এবং মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি ব্যক্ত করেছেন। তিনি হায়দরাবাদে থাকতে পারছেন না। কারণ বিধানসভার অধিবেশন আছে ওই সময়। তবে এদিন, সন্ধেয় পরিষদীয় দলের সঙ্গে একটি হোটেলে বৈঠক করেছেন ফড়ণবিশ।