মহারাষ্ট্রকে দেওয়া কেন্দ্রের ৪০ হাজার কোটি টাকার তহবিল বাঁচাতেই দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদের শপথ নিয়েছিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। পরিকল্পনা করে এই নাটক করা হয়েছে রাজ্যের মানুষের স্বার্থে। উত্তর কন্নড়ে এক সভায় গিয়ে এই দাবি করেছেন বিজেপি সাংসদ অনন্তকুমার হেগড়ে। ফড়নবিশের 'পরিকল্পিত নাটকের' তদন্ত করা উচিত বলে দাবি করেছেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হেগড়ের দাবি খারিজ করেছেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফড়নবিশ।
অনন্ত হেগড়ে বলেন, "আপনারা জানেন, মাত্র ৮০ ঘণ্টার জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন ফড়নবিশ। তার পর ইস্তফাও দিয়ে দেন। কীসের জন্য এই নাটক? সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকা সত্ত্বেও কেন মুখ্যমন্ত্রী হলেন দেবেন্দ্র ভাই? আমি আপনাদের কারণ জানাচ্ছি।" তারপরই তাঁর সংযোজন, "মহারাষ্ট্রে ফড়নবিশের দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়া সম্পূর্ণ পরিকল্পিত। যখনই জানা যায় তিন দলের জোট সরকার হবে, তখনই নাটক করে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। আপোষের রাস্তায় হাঁটে বিজেপি। জোট সরকার ক্ষমতায় এসেই এই তহবিলের অপপ্রয়োগ করতে পারে, এই আশঙ্কা করা হয়। ফলে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ১৫ ঘণ্টার মধ্যেই সেই তহবিল কেন্দ্রের কাছে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিলেন ফড়নবিশ।"
আরও পড়ুন: হায়দরাবাদ ধর্ষণকাণ্ড: গণপিটুনি, ফাঁসি, খোজা করে দেওয়ার দাবিতে সরগরম সংসদ
হেগড়ের দাবি অবশ্য খারিজ করে দিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। তিনি বলেন, "আমার সম্পর্কে যা বলা হচ্ছে, তা মিথ্যা। কেয়ারটেকার সরকার পরিচালনার সময় আমি নীতিগত কোনও সিদ্ধান্ত নিই নি। কেন্দ্র-রাজ্য অর্থ বন্টন কিভাবে হয় তা যাঁরা জানেন, বিষয়টি তাঁদের কাছে স্পষ্ট।"
গত ২৩ নভেম্বর মহারাষ্ট্রের 'মহা নাটক' প্রত্যক্ষ করেছেন রাজ্যবাসী। এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ারের সমর্থনে শনিবার সাতসকালে দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। পরে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের অভাবে ইস্তফা দেন তিনি। মহা বিকাশ আগাড়ি জোট রাজ্যের ক্ষমতায় আসে।
Read the full story in English