তিন দিনের সফরে দিল্লিতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সেই সফরের আগেই মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া চিঠি লিখলেন তিনি। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকার সমালোচনা করে সেই চিঠি লেখা। এমনটাই রাজ ভবন সূত্রে খবর। এদিকে, দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন রাজ্যপাল। সাক্ষাৎ করতে পারেন রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। সেই সাক্ষাৎপর্বের বিষয় কী হতে পারে? চিঠির বিষয়বস্তু থেকে কিছুটা আন্দাজ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
চিঠিতে রাজ্যপাল বলেছেন, ‘ভোটের পর বহু মানুষ হিংসার কবলে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন। বিরোধীদের প্রচুর সম্পত্তি নষ্টহয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনা অব্যাহত। চলছে নারী নির্যাতনও। রাজ্যের এই পরিস্থিতি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও আপনি নীরব থেকেছেন। এমনকি মন্ত্রিসভার বৈঠকেও এ নিয়ে কোনও আলোচনা করেননি।’ অবিলম্বে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা চেয়ে চিঠিতে দরবার করেছেন রাজ্যপাল।
জগদীপ ধনকড়ের প্রশ্ন, ‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী আপনি অবশ্যই এবিষয়ে সহমত যে, রাজ্যে এই সন্ত্রাসের পরিবেশ গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক। গণতান্ত্রিক প্রথা মেনে ভোট দেওয়ার পরেও এটা হতে দেওয়া যায় কী ভাবে?’
সেই চিঠিতে গত ১৬ মে’র ঘটনা উল্লেখ রয়েছে। যখন রাজ্যের ৪ হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর গ্রেফতারির পর নিজাম প্যালেসে অবস্থান করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অপরদিকে, রাজ্যপালের মতোই একই সুর ধরা পড়েছে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গলায়। তিনি বলেন, ‘রাজ্যপালকে হজম করতে পারছে না তৃণমূল। যাঁদের কণ্ঠস্বর রুদ্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে, তাঁদের কথাই তুলে ধরেছেন রাজ্যপাল।‘
পাশাপাশি রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে প্রতিবাদে মুখর বিজেপি। সোমবার বিকেলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা রাজভবনে রাজ্য়পালের সঙ্গে দেখা করেন। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের কাছে নালিশ জানান তাঁরা। এছাড়া বাংলায় দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করারও আর্জি জানানো হয়। পরে, রাজ্যপাল ধনকড়ও নবান্নের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন। তারপরই এ দিন রাজ্য়পালের দিল্লি সফর রাজনৈতিক দিক থেকে তাৎপর্যবাহী বলেই মনে করা হচ্ছে
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন