/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/12/modi-1-6.jpg)
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
'ভারত মাতা কি জয়' বলতে যারা প্রস্তুত তারাই শুধু ভারতে থাকতে পারবেন। সাফ জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।
দেশজুড়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও প্রস্তাবিত এনআরসির প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলছে। দিন যত এগোচ্ছে আন্দোলন ততই তীব্র হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলতে হয়েছে, দেশে এনআরসি লাগুর কোনও পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই। প্রবল বিরোধিতায় মোদী-শাহ জুটির উপর চাপ যে বাড়ছে তা তাঁদের মন্তব্যেই স্পষ্ট। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মন্তব্য বিতর্ক ঘি ঢাললো বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘আসামের ইতিহাস-সংস্কৃতি-ভাষার ধ্বংস মানব না’
কী বলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান?
পুনেতে আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন ধর্মেন্দ্র প্রধান। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে সাম্প্রতিক সিএএ বিরোধী প্রতিবাদের কথা। সেই সূত্রেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর স্পষ্ট ঘোষণা, 'ভারত মাতা কি জয়' বলতে যারা প্রস্তুত তারাই শুধু ভারতে থাকতে পারবেন। ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেছেন, 'দেশে জনসংখ্যা গোনা হবে না হবে না? স্বাধীনতার লড়াইয়ে উধম সিং, ভগৎ সিং বা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বলিদান কী বেকার হয়ে যাবে? ভাবতেও অবাক লাগে,স্বাধীনতার ৭০ বছর বাদে এই চর্চা হচ্ছে যে- দেশের জনসংখ্যা গোনা হবে কিনা? দেশের স্বাধীনতার জন্য কোটি মানুষ এজন্যই কী প্রাণ দিয়েছিলেন? যারাই এদেশে আসবেন তারাই থাকতে পারবেন? আমরা কী দেশকে ধর্মশালা বানাচ্ছি? বর্তমান পরিস্থিতিতে এটাই এখন সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে।' এরপরই মন্ত্রী বলেন, 'বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে একটা কথা স্পষ্ট করে বলেতে চাই যে, এদেশে থাকতে গেল যারা ভারত মাতা কি জয় বলবেন তারাই শুধু থাকার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।' বক্তব্যের শেষ অংশে প্রধান এমন অনেক দেশের উদাহরণ তুলে ধরেন, যেখানে নাগরিকত্ব নথিভুক্তকরণের কাজ হয়েছে।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/12/pradhan-1.jpg)
দেশের অর্থনীতি বেহাল। দিন দিন বাড়ছে বেকারত্ব। কর্মসংস্থানে কেন্দ্র কী পদক্ষেপ করছে? মন্ত্রী বলেন, 'শিল্পে প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে চাকরি কমছে। সমস্যা সমাধানে এবিভিপির মত সংগঠনকে দায়িত্ব নিতে হবে' বলে জানান কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।
মন্ত্রীর আশা, একবিংশ শতাব্দীতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আরএসএসের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। মন্ত্রী জানান, ১৯৮৩ থেকে এই ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত তিনি। সংগঠনের জাতীয় সম্পাদকের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি।
Read the full story in English