কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং। ১৭ অক্টোবর কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন। অশোক গেহলট বেঁকে বসায় আস্থাভাজন প্রার্থী খুঁজছে গান্ধী পরিবার। অনেক নামই উঠে এসেছে। তার অন্যতম দিগ্বিজয় সিং। একটা সময় গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ বৃত্তে থাকা দিগ্বিজয় গত কয়েক বছর ধরেই সর্বভারতীয় রাজনীতিতে তেমন একটা আলোচনায় নেই। অথচ, মধ্যপ্রদেশের এই নেতার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা বিস্তর। সেই দিগ্বিজয়কেই এবার দলের হাল সামলাতে ডেকে পাঠিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। কংগ্রেস সূত্রে এমনটাই শোনা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, আজ রাতেই দিল্লি পৌঁছবেন ডিগ্গি রাজা।
রবিবার রাজস্থানের বুকে যা ঘটে গিয়েছে, তাতে আর অশোক গেহলটের ওপর ভরসা রাখতে সাহস পাচ্ছে না কংগ্রেস হাইকমান্ড। যা সর্বভারতীয় রাজনীতিতে দিগ্বিজয় সিংহের উত্থানের পথ প্রশস্ত করতে পারে বলেই, কংগ্রেস সূত্রে খবর। কারণ, মনোনয়ন প্রক্রিয়া শেষ হতে আর মাত্র দুই দিন বাকি। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে নিরপেক্ষতার কথা স্বীকার করেও দলের নেতৃত্বের রাশ হাতে রাখতে বদ্ধপরিকর গান্ধী পরিবার।
আরও পড়ুন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নিষেধাজ্ঞার পরই তাঁরা সংগঠন ভেঙে দিয়েছেন, দাবি পিএফআই নেতৃত্বের
এর আগে লোকসভা সাংসদ শশী থারুর জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। কিন্তু, শশীর রাজনৈতিক প্রাজ্ঞতা এবং সভাপতি পদে থেকেও গান্ধী পরিবারের প্রতি তাঁর বিশ্বস্ততার ওপর আস্থা নেই সনিয়া-রাহুলদের। আর, তাই ডিগ্গি রাজার ডাক পড়েছে। বয়সজনিত কারণে মধ্যপ্রদেশের রাজনীতিতেও দিগ্বিজয় সিং বর্তমানে খুব একটা প্রাসঙ্গিক নন। ২০১৯ সালে তিনি ভোপাল থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরের কাছে পরাজিত হয়েছেন। তবে, পরের বছরই সাংসদ করে তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছে কংগ্রেস।
সেই হিসেবে রাঘোগড় রাজবংশের ছেলে দিগ্বিজয় বর্তমানে দলের কোনও বড় পদে নেই। তাই, কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে দলেরই লাভ বলেই মনে করছে কংগ্রেস। শেষ পর্যন্ত দিগ্বিজয়ের ব্যাপারে কংগ্রেস হাইকমান্ড মনস্থির করে ফেললে, তাঁকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। কারণ, কংগ্রেস সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সেটাই শেষ দিন।
Read full story in English