বিধানসভা উপনির্বাচন ঘিরে সোমবার দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে তিন কেন্দ্রেরই একাধিক এলাকা। শাসক দল তৃণমূল এবং পদ্মশিবিরের ক্ষমতা দখলের লড়ায়েই মূলত উত্তাপ ছড়িয়েছে। সোমবার সকালে খড়গপুরে উপনিবার্চন শুরু হতেই নাম না করে তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিদায়ী বিধায়ক তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, "আমাদের কর্মীরা রাস্তায় আছেন। তাঁদের নিশানা করা হচ্ছে। আমরা পুলিশ, প্রশাসনকে অভিযোগ জানাব। তবে যদি প্রয়োজন হয়, শক্তি প্রয়োগের জন্য প্রস্তুত আছি আমরা।" দিলীপের এই মন্তব্যের পরই তাঁর উদ্দেশে তোপ দাগেন খড়গপুর সদর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকার। তিনি বলেন, "আইনত দিলীপ ঘোষ খড়গপুরে থাকতেই পারেন না। উনি এই বিধানসভার ভোটার নয়। জোর জবরদস্তি করে এখানে আছেন। আমি প্রশাসনকে বলব, অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে। খড়গপুরের মানুষ শান্তিপ্রিয়, সেভাবেই দিলীপ ঘোষকে এর জবাব দেবে বলে আমার বিশ্বাস"।
আরও পড়ুন: Live: করিমপুরে নিগৃহীত জয়প্রকাশ, পত্রাঘাত মুকুলের
এদিকে, করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের সাহেবপাড়ায় বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারের উদ্দেশে সকাল থেকেই 'গো-ব্যাক' স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূল কর্মীরা। জনৈক এক ব্যক্তি জয়প্রকাশ মজুমদারকে পদাঘাত করে ঝোপে ফেলে গিচ্ছেন, এমন দৃশ্যও ধরা পড়েছে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায়। ভিড় হঠাতে এরপর লাঠিচার্যও করে পুলিশ। এদিন, থানাপাড়ার পিপুলখোলায় নির্বাচন কেন্দ্রে বারংবার ইভিএমের পাশে যাওয়ায় বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারকে বের করে দেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। তবে বিজেপি প্রার্থী এই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন। বরং, পুলিশের সামনেই তাঁকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়, এমনটাই অভিযোগ বিজেপির। তাঁদের আরও দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই হামলা চালিয়েছে। নিগৃহীত বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, "আমার হাতে-পিঠে আঘাত করা হয়েছে। তবে এ আঘাত আজ আছে, কাল মিটে যাবে। কিন্তু গণতন্ত্রের ওপর মমতাবাহিনীর যে আঘাত তার থেকে বাংলা কবে মুক্তি পাবে সেটাই দেখার।"
আরও পড়ুন: বড় অগ্নিপরীক্ষার মুখে দিলীপ, মুকুল ও প্রশান্ত কিশোর
তৃণমূলের নদীয়ার পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "বিজেপি প্রার্থী পরিকল্পিতভাবে এই কাণ্ডটি করেছেন। আমরা কোথাও কোনও ভোটারদের প্রভাবিত করিনি। কিন্তু সকাল থেকেই ভোটদানে বাধা দিয়ে এসেছেন জয়প্রকাশ মজুমদার। ভোটারদের প্রভাবিত করা, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে না দেওয়া, এসবই উনি করেছেন। বিজেপি বুঝে গিয়েছে যে মাটির তলায় মাটি নেই। ভোটে পরাজয় হবে এটা বুঝতে পেরে সকাল থেকেই এসব করে ভোট বানচাল করার চেষ্টা করছেন। যা করেছেন তা বিজেপির মস্তিষ্কপ্রসূত পরিকল্পনা। হয় গোষ্ঠীদ্বন্ধ নয় ভোটারদের থেকে সহানুভূতি পাওয়ার জন্য এসব করেছেন উনি। তৃণমূল কংগ্রেস এ ধরনের কাজ সমর্থন করে না। আমরা যুক্তও নই।"