‘জেএনইউ-র হামলা সাজানো ঘটনা!’ মঙ্গলবার এমন বিস্ফোরক মন্তব্যই করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখোশধারীদের হামলায় যখন উত্তাল গোটা দেশ, সেই আবহে কার্যত আগুনে ঘি ঢাললেন দিলীপ। নাম না করে জেএনইউ-র ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষকে নিশানা করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘যাঁকে মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় দেখা যাচ্ছে, মনে হচ্ছে খুব আঘাত লেগেছে। সাজানো ঘটনা নয় তো? সহানুভূতি আদায়ের জন্য নয় তো?’’
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ?
জেএনইউ-র ঘটনা প্রসঙ্গে ঐশী ঘোষের নাম না করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘যাঁকে মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় দেখা যাচ্ছে, মনে হচ্ছে খুব আঘাত লেগেছে। কে মেরেছে জানি না। তবে একাধিক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, যাঁকে ব্যান্ডেজ পরে দেখা যাচ্ছে, সেই তিনিই দুষ্কৃতীকারীদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তবুও তিনি কী করে আঘাত পেয়েছেন, কীভাবে পেয়েছেন? সাজানো ঘটনা নয় তো? সহানুভূতি আদায়ের জন্য নয় তো?’’ এরপরই দিলীপ বলেন, ‘‘জেএনইউ-র ঘটনা সাজানো ঘটনা বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। সত্যটা সামনে আসুক। এফআইআর করা হয়েছে’’। উল্লেখ্য, ঐশী-সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘দেশে কমিউনিস্টদের মারা শুরু হয়েছে, মনে হয় পাওনা আছে’, জেএনইউকাণ্ডে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ
এ প্রসঙ্গে মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ আরও বলেন, ‘‘এবিভিপির ছেলেদের ঘর খুঁজে মারা হয়েছে। মুখে কাপড় বেঁধে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢুকল কী করে? যাঁরা ওই লোকগুলোকে নিয়ে এসেছিলেন, তাঁরার হয়তো তাঁদের লুকিয়ে রেখেছে। একজনের মাথায় রক্ত পড়েছে নাকি লাল রং দেওয়া হয়েছে সেটা পরীক্ষা হয়নি। সেই নিয়ে দেশে তুলকালাম করছে। এ থেকেই বোঝা যায় কমিউনিস্টরা, বিরোধীরা অস্তিত্বহীনতায় ভুগছে’’। উল্লেখ্য, সোমবারই দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘এদেশে কমিউনিস্টদের মারা শুরু হয়েছে। মনে হয়, এটা তাদের পাওনা আছে, কারণ যা ব্যবহার করেছে। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। হিসেব বরাবর হচ্ছে’’। দিলীপের এহেন মন্তব্যে সরব হয়েছে বিভিন্ন মহল। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই জেএনইউ ইস্যুতে এদিন যে মন্তব্য করলেন দিলীপ, তাতে এই বিতর্ক নয়া মাত্রা পেল বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘আমার শবদেহের উপর দিয়ে যেতে হবে’, ‘চৌকিদার’কে বার্তা ‘পাহারাদারে’র
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দিলীপ ঘোষকে বলব, একটু মানবিক হন। খালি বাহুবলী সিনেমা দেখানোর চেষ্টা করছেন। রাজ্যের মানুষকে অপমান করছেন। পড়ুয়াদের আন্দোলনকে অপমান করছেন। আপনি রং মেখে মার খান না? এখনও তো কোথাও মার খায়নি, তাই না! আমরা প্রতিহিংসাপরায়ণ নয়, তাই। সিনেমার ডায়লগ দিয়ে রাজনীতি হয় না’’।
জেএনইউকাণ্ডের প্রতিবাদে নাগরিক মিছিলে পা মিলিয়ে নাট্যব্যক্তিত্ব কৌশিক সেন বলেন, ‘‘যাঁরা এধরনের কথা বলেন, তাঁরা পাগল এবং শয়তান। দিলীপ ঘোষ দুটোই’’। পরিচালক অনীক দত্ত বলেন, ‘‘আমি বিজ্ঞাপনে ছিলাম তো, উনি খুব ভাল কপিরাইটার হতে পারতেন। রোজ মনে হয় ভাবেন এমন করে একটা লাইন বলবেন। ওঁকে উপেক্ষা করা উচিত’’।
‘জেএনইউ-তে সাজানো ঘটনা, রক্ত না লাল রং?’, বিস্ফোরক দাবি দিলীপ ঘোষের
‘‘একজনের মাথায় রক্ত পড়েছে নাকি লাল রং দেওয়া হয়েছে সেটা পরীক্ষা হয়নি। সেই নিয়ে দেশে তুলকালাম করছে। এ থেকেই বোঝা যায় কমিউনিস্টরা, বিরোধীরা অস্তিত্বহীনতায় ভুগছে’’।
Follow Us
‘জেএনইউ-র হামলা সাজানো ঘটনা!’ মঙ্গলবার এমন বিস্ফোরক মন্তব্যই করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখোশধারীদের হামলায় যখন উত্তাল গোটা দেশ, সেই আবহে কার্যত আগুনে ঘি ঢাললেন দিলীপ। নাম না করে জেএনইউ-র ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষকে নিশানা করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘যাঁকে মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় দেখা যাচ্ছে, মনে হচ্ছে খুব আঘাত লেগেছে। সাজানো ঘটনা নয় তো? সহানুভূতি আদায়ের জন্য নয় তো?’’
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ?
জেএনইউ-র ঘটনা প্রসঙ্গে ঐশী ঘোষের নাম না করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘যাঁকে মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় দেখা যাচ্ছে, মনে হচ্ছে খুব আঘাত লেগেছে। কে মেরেছে জানি না। তবে একাধিক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, যাঁকে ব্যান্ডেজ পরে দেখা যাচ্ছে, সেই তিনিই দুষ্কৃতীকারীদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তবুও তিনি কী করে আঘাত পেয়েছেন, কীভাবে পেয়েছেন? সাজানো ঘটনা নয় তো? সহানুভূতি আদায়ের জন্য নয় তো?’’ এরপরই দিলীপ বলেন, ‘‘জেএনইউ-র ঘটনা সাজানো ঘটনা বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। সত্যটা সামনে আসুক। এফআইআর করা হয়েছে’’। উল্লেখ্য, ঐশী-সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘দেশে কমিউনিস্টদের মারা শুরু হয়েছে, মনে হয় পাওনা আছে’, জেএনইউকাণ্ডে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ
এ প্রসঙ্গে মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ আরও বলেন, ‘‘এবিভিপির ছেলেদের ঘর খুঁজে মারা হয়েছে। মুখে কাপড় বেঁধে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢুকল কী করে? যাঁরা ওই লোকগুলোকে নিয়ে এসেছিলেন, তাঁরার হয়তো তাঁদের লুকিয়ে রেখেছে। একজনের মাথায় রক্ত পড়েছে নাকি লাল রং দেওয়া হয়েছে সেটা পরীক্ষা হয়নি। সেই নিয়ে দেশে তুলকালাম করছে। এ থেকেই বোঝা যায় কমিউনিস্টরা, বিরোধীরা অস্তিত্বহীনতায় ভুগছে’’। উল্লেখ্য, সোমবারই দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘এদেশে কমিউনিস্টদের মারা শুরু হয়েছে। মনে হয়, এটা তাদের পাওনা আছে, কারণ যা ব্যবহার করেছে। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। হিসেব বরাবর হচ্ছে’’। দিলীপের এহেন মন্তব্যে সরব হয়েছে বিভিন্ন মহল। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই জেএনইউ ইস্যুতে এদিন যে মন্তব্য করলেন দিলীপ, তাতে এই বিতর্ক নয়া মাত্রা পেল বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘আমার শবদেহের উপর দিয়ে যেতে হবে’, ‘চৌকিদার’কে বার্তা ‘পাহারাদারে’র
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দিলীপ ঘোষকে বলব, একটু মানবিক হন। খালি বাহুবলী সিনেমা দেখানোর চেষ্টা করছেন। রাজ্যের মানুষকে অপমান করছেন। পড়ুয়াদের আন্দোলনকে অপমান করছেন। আপনি রং মেখে মার খান না? এখনও তো কোথাও মার খায়নি, তাই না! আমরা প্রতিহিংসাপরায়ণ নয়, তাই। সিনেমার ডায়লগ দিয়ে রাজনীতি হয় না’’।
জেএনইউকাণ্ডের প্রতিবাদে নাগরিক মিছিলে পা মিলিয়ে নাট্যব্যক্তিত্ব কৌশিক সেন বলেন, ‘‘যাঁরা এধরনের কথা বলেন, তাঁরা পাগল এবং শয়তান। দিলীপ ঘোষ দুটোই’’। পরিচালক অনীক দত্ত বলেন, ‘‘আমি বিজ্ঞাপনে ছিলাম তো, উনি খুব ভাল কপিরাইটার হতে পারতেন। রোজ মনে হয় ভাবেন এমন করে একটা লাইন বলবেন। ওঁকে উপেক্ষা করা উচিত’’।