অর্জুন সিংয়ের পর সোমবার দুপুরে প্রচারে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁকে নিগ্রহ করা হয়েছে বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। এমনকী এক বিজেপি কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়াও অভিযোগ করা হচ্ছে। দিলীপ ঘোষকে বাঁচাতে এক সময় তাঁর দেহরক্ষীকে বন্দুক উঁচিয়ে বিক্ষোভকারীদের দিকে তেড়ে যেতে দেখা যায়। বিজেপির নিশানায় শাসক দল তৃণমূল। এই ঘটনায় ধুন্ধুমার বেঁধে যায়।
Advertisment
ভবানীপুরে এদিন প্রচারের শেষ দিনে যদুবাবুর বাজারে যান দিলীপ ঘোষ। তাঁকে দেখেই 'গো-ব্যাক' স্লোগান ওঠে। শুরু হয় তাঁকে বাধা দেওয়ার পালা। এরপর যা ধস্তাধস্তির রূপ নেয়। দিলীপবাবুকে শারীরিক নিগ্রহ করেছে বিক্ষোভকারী তৃণমীল কর্মীরা, অভিযোগ বিজেপির। ধস্তাধস্তিতে মাথা ফেটে যায় এক বিজেপি কর্মীর। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর মাঝেই মেজাজ হারার প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে তাঁকে বলতে শোনা যায়, 'গলায় পা তুলে দেব। আমি হিজড়া নই।'
উত্তজনার মধ্যেই সেখানে পৌঁছে যান বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। এর আগে শম্ভূনাথ পণ্ডিত রোডে তাঁকে ঘিরেও 'বহিরাগত হুঁশিয়ার', 'গো-ব্যাক' স্লোগান ওঠে।
ভবানীপুরে এদিন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের হয়ে প্রচার করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, 'এরা ভেবেছিল এসব করলে আমরা ভয় পাব। প্রচার করব না। কিন্তু ওরা যত বাধা দেবে আমরা তত প্রচার করব। মাননীয়া এক ঢিলে দুই পাখি মারতে গিয়েছিলেন।। ভবানীপুরে হাওয়া খারাপ বুধে নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন, এবং ভেবেছিলেন শুভেন্দুকে হারাব। উল্টে নিজেই হেরে চলে এসেছেন। এখন আবার খরচ করে এখানে ভোট করতে হচ্ছে। আপনি স্বাধীনতার পর দেশের সবচেয়ে মিথ্যাবাদী' নেত্রী।
রাজ্য বিজেপি সভাপতি এপ্রসঙ্গে বলেন, 'এটা বাংলার সংস্কৃতি নয়। বিরোধী দলের লোকেদের কেন প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে। বাংলায় তালিবানী শাসন চলছে।' পাল্টা তৃণমূল নেতা তাপস রায় বলেন, 'ওনার উপস্থিতিই উত্তেজনা বাড়ায়। তারপর রয়েছে ওঁর ভাষা সন্ত্রাস। নিরাপত্তা রক্ষী বন্দুক উঁচিয়ে যাচ্ছেন। সবটাই উস্কানিমূলক। ফল যা হওয়ার তা হয়েছে।'
এই ঘটনার পরই টুইটে তৃণমূলকে নিশানা করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। তিনি লিখেছেন, 'ভবানীপুরে বিজেপির ব্যাপক প্রচার টিএমসিকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। নেতাদের প্রচারণা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু তারা কতজনকে থামাতে পারবে? নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি কোণে বিজেপি নেতারা ছড়িয়ে আছেন। গুরুত্বপূর্ণভাবে, জনসাধারণ সমর্থন করার জন্য বিপুল সংখ্যায় বাইরে রয়েছে।'
ভবানীপুরের ঘটনা নিয়ে রাজ্যের থেকে রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
আমাদের নিউজলেটার সদস্যতা!
একচেটিয়া অফার এবং সর্বশেষ খবর পেতে প্রথম হন