'বহিরাগত' ইস্যুতে আক্রমণ শানাতে গিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। চৌরঙ্গিতে এদিন চা চক্রে যোগ দেন দিলীপবাবু। রথে চড়ে সভায় পৌঁছায় তিনি। সেখান থেকেই শিক্ষা, চাকরি, মহিলাদের নিরাপত্তা সহ রাজ্যের শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মেদিনীপুরের সাংসদ। ঘোষণা করেন, 'অপশাসন দূর করে একমাত্র বিজেপিই পারে সোনার বাংলা গড়তে।'
এবার ভোটে বড় ইস্যু 'বহিরাগত'। বাঙালি আবেগ, মননকে পুঁজি করে 'বহিরাগত' বলে গেরুয়া শিবিরকে দেগে দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল। পাল্টা জোড়া-ফুল শিবিরকেও নিশানা করছে বিজেপি। তৃণমূল যখন প্রশ্ন তুলছে, বাঙালি সংস্কৃতি যাঁরা জানানে না, সেইসব বহিরাগতদের কেন বাংলার ভোটে বিজেপির হয়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে দেখা যাচ্ছে? তখন পদ্ম বাহিনীর জিজ্ঞাস্য, কারা তাহলে এদেশের নাগরিক? তৃণমূল-বিজেপি তরজা ঘিরে তুঙ্গে বঙ্গ রাজনীতির পারদ।
এই পরিস্থিতিতে এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া আক্রমণ করে চৌরঙ্গিতে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'ওঁর কাছে আমাদের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সর্ভারতীয় সভাপতি সকলে বহিরাগত। কিন্তু বাড়ির পাঞ্জাবি বউ বহিরাগত নন।'
গোটা বাংলাজুড়ে অপশাসন চলছে বলে অভিযোগ রাজ্য বিজেপি সভাপতির। ভোটের দেওয়াল লিখনও স্পষ্ট বলে দাবি তাঁর। দিলীপ ঘোষের কথায়, 'মুখ্যমন্ত্রী বুঝে গিয়েছেন যে তৃণমূলের দিন শেষ। তাই এখন সিপিএম-কংগ্রেসের সঙ্গে মিলে বিজেপিকে ঠেকানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হবে না। সকলের বিরুদ্ধে একাই লড়াইয়ের জন্য তৈরি বিজেপি।'
বিজেপির নজরে পরিবর্তনের পরিবর্তন। এদিন সেটাও পরিষ্কার করে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, 'আইন নেই, শাষন নেই, পুলিশের কোনও ভূমিকাই নেই, চাকরি নেই, মা-বোনেরা সুরক্ষিত নন। এই বাংলা আমরা চাই না। ক্ষমতায় এসে আমরা সোনার বাংলা গড়ব। যেখানে আইন থাকবে, চাকরি থাকবে। প্রত্যেকে সুরক্ষিত-নিরাপদে থাকবেন। পরিবর্তনের পরিবর্তন করতেই এই লড়াই আমাদের।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন