মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে প্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক তমোনাশ ঘোষের প্রসঙ্গ টেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বুধবার তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বঙ্গ বিজেপির দ্বিতীয় ভার্চুয়াল জনসভায় রাজ্য সরকারের মন্ত্রী-বিধায়করা লকডাউনের নিয়ম মানছে না বলেও অভিযোগ করেছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, "উল্টে বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করছে পুলিশ।" এরপরই মেদিনীপুরের সাংসদের কটাক্ষ, "নিজের দলের মন্ত্রী, বিধায়কদের বাঁচাতে পারেন না। সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে?"
এ রাজ্যে বিজেপির প্রথম ভার্চুয়াল জনসভায় বক্তব্য রেখেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বুধবার মেদিনীপুর জোনের ভার্চুয়াল জনসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন সাংসদ ভূপেন্দ্র যাদব। এই সভাতে বক্তব্য রাখছিলেন মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষও। সেখানেই রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে তুলোধোনা করেন তিনি। প্রশ্ন তোলেন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে।
আরও পড়ুন- দিলীপ-মুকুলের পরস্পর বিরোধী অবস্থান কি বাংলায় পদ্ম ফোটাতে বাধা?
দিলীপবাবু বলেন, "রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হাল কী! দুর্ভাগ্যবশত আজ সরকারি দলের একজন বিধায়ক মারা গিয়েছেন। তিনি একমাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এই সরকারের ক্ষমতা নেই একজন বিধায়ককে বাঁচিয়ে দেওয়ার। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কোথায় পৌঁছে গিয়েছে! জলজ্যান্ত বিধায়কের প্রাণ গেল। একজন মন্ত্রী অসুস্থ হয়েছিলেন। তবে তিনি ভেন্টিলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন, এটা সৌভাগ্যের কথা। প্রাক্তন বিধায়ক, তাঁর পরিবার এখন অসুস্থ। এই সরকারের কাছে চিকিৎসার ন্যূনতম ব্যবস্থা নেই। মন্ত্রী, বিধায়কদেরই বাঁচাতে পারছে না। তাহলে সাধরণ মানুষকে কোথায় যাবে?"
একের পর তৃণমূল মন্ত্রী ও বিধায়ক অসুস্থ হওয়ায় দিলীপ ঘোষ মনে করেন, শাসকদলের নেতৃত্ব লকডাউনের নিয়ম মানছেন না। মানছেন না সামাজিক দূরত্ব বিধি। তিনি বলেন, "আমি ধরে নিচ্ছি রাজ্য সরকারের মন্ত্রী, বিধায়করা লকডাউনের নিয়ম মানেননি। সামাজিক দূরত্ব বিধি মানেননি। তাই তাঁরা অসুস্থ হয়ে গিয়েছেন। তাঁরা সমাজকে কী বলবেন? আমরা নাকি নিয়ম মানছি না! সমালোচনা করছি। আমরা যদি সমালোচনা করি ঠিক করেছি। সরকার কেন নিজেদের শুধরাচ্ছে না। নিজের লোককে বাঁচাতে পারছেন না, সাধারণ মানুষকে বাঁচাচ্ছেন না।" পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, "এদিকে দাঁতনে তৃণমূলের হাতে নিহত কর্মী পবন জানাকে যখন শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে গিয়েছি তখন আমাদের নামে পুলিশ মামলা করেছে। আমরা নাকি লকটডাউনের নিয়ম মানিনি। সোশাল ডিসট্য়ান্স লঙ্ঘন করেছি। ৭৫ জনের নামে কেস দিয়েছে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন