কাশ্মীরে ৫ বাঙালি শ্রমিককে নৃশংসভাবে খুন করার ঘটনায় দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে ফের বিতর্ক ছড়াল। কুলগামে জঙ্গি হানার ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মুসলমান কাশ্মীরে মারা গেলে সে বাঙালি, কিন্তু রাজস্থান বা গুজরাতে মারা গেলে সে মুসলমান!...কার স্বার্থে এই ধরনের বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চালাচ্ছে সেকুলার রাজনৈতিক দলগুলি?’’
উল্লেখ্য, কুলগামে এ রাজ্যের শ্রমিকদের হত্যার ঘটনায় সরব হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা কেন্দ্রকে দুষে বলছেন, ‘‘সারা দেশে বাঙালিদের টার্গেট করা হচ্ছে। এ ঘটনার কড়া তদন্ত হোক’’। সেই প্রেক্ষিতে দিলীপের এহেন মন্তব্য রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বারংবার মুসলিম তোষণের অভিযোগ জানিয়ে সরব হয়ে আসছে গেরুয়াবাহিনী। ফলে দিলীপ ঘোষের এদিনের মন্তব্য ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
আরও পড়ুন: ‘বাঙালিদেরই বেছে বেছে টার্গেট করা হচ্ছে’, কুলগামকাণ্ডে কেন্দ্রকে নিশানা মমতা বাহিনীর
কুলগামে বাঙালি শ্রমিকদের খুনের ঘটনার ‘কড়া তদন্তে’র দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেছেন, ‘‘এ ঘটনার তদন্ত করে সত্য উদঘাটন করা হোক’’। পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ‘‘সারা দেশে যেভাবে বাঙালিদের টার্গেট করা হচ্ছে, তাতে মুখ্যমন্ত্রী ব্যথিত। কাউকে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে, কাউকে গুলি করে মারা হচ্ছে। খুব উদ্বেগের বিষয় এটা। কাশ্মীরে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের কেন সুরক্ষা দেওয়া হবে না?’’
অন্যদিকে, বিজেপি নেতা মুকুল রায় পাল্টা বলেছেন, ‘‘এ ঘটনায় রাজনীতি করা ঠিক নয়। এটাও ঠিক যে, বাংলায় কর্মসংস্থান নেই, সে কারণেই অন্য রাজ্যে কাজের খোঁজে যাচ্ছেন শ্রমিকরা’’। এই একই প্রশ্ন তুলেছেব দিলীপও। তিনি বলেছেন, ‘‘মুসলমান ছেলেদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে মজুরের কাজ করতে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে কেন যেতে হচ্ছে?’’