উনিশের নির্বাচনে বঙ্গে বিজেপির বড় উত্থান হয়েছে তাঁর নেতৃত্বেই। তাঁর আমলেই বাংলার মাটিতে তৃণমূলকে সেয়ানে সেয়ানে টক্কর দিতে প্রধান বিরোধী দলের জায়গায় পৌঁছেছে বিজেপি। বঙ্গ বিজেপির ‘হর্তা-কর্তা-বিধাতা’-র চেয়ারে কি থাকবেন দিলীপ ঘোষ? নাকি ৬, মুরলীধর সেন লেনে রাজ্য সভাপতির চেয়ারে বসবেন নতুন কেউ? নতুন বছরের শুরুতে এ জল্পনাতেই যখন সরগরম রাজ্য রাজনীতি, তখন স্বয়ং দিলীপ ঘোষই এবার এ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি পদে কি থাকবেন দিলীপ?
বছরের প্রথম দিনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘দলে পরিবর্তন হয়। জল্পনা-কল্পনা হবেই। আমাদের দলের সংবিধান আছে। সেই সংবিধান মেনেই সব হয়। প্রতি তিন বছর অন্তর নির্বাচন হয়। একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে হয়। আমায় দল তিন বছর সময় দিয়েছিল, আমি ৪ বছর পেয়েছি। বোনাস পেয়েছি। দল যদি মনে করে আমায় দায়িত্ব দেবে, ঠিক আছে। আমার চেয়ে যোগ্য কোনও ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেওয়া হবে কিনা, সেটা দল ঠিক করবে’’।
আরও পড়ুন: ‘আমাদের সভায় যেন না আসে, তাহলে হাসপাতালে যেতে হবে’, তৃণমূলকে হুমকি দিলীপের
বিজেপি রাজ্য সভাপতির চেয়ারে বসার পরই একের পর এক সাফল্যের মুখ দেখেছেন দিলীপ ঘোষ। যার অন্যতম উদাহরণ, উনিশের লোকসভা নির্বাচন। লোকসভা ভোটে বাংলায় ১৮টি আসনে জিতে অভাবনীয় উত্থান ঘটেছে বিজেপির। এ প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, ‘‘দলের লক্ষ লক্ষ কর্মী কাজ করছেন। অনেকে মারা গিয়েছেন। আমি সভাপতি হিসেবে সামনে আছি, নেতৃত্বে আছি ঠিকই। তবে এটা সকলের সাফল্য। সকলে লড়াই করে জিতিয়েছে দলকে’’। এ বিষয়ে মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ আরও বলেন, ‘‘নেতৃত্ব বিভিন্ন দিক দিয়ে নির্বাচিত হয়। আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, সেই দায়িত্ব পালন করেছি’’। সূত্রের খবর, আগামী ৯ জানুয়ারি এ রাজ্যে আসছেন ভূপেন্দ্র যাদব। সে সময়ই বিজেপি রাজ্য সভাপতি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।