বছর ঘুরলেই একুশের লড়াই। উনিশের নির্বাচনে উত্থানের পরই বাংলার কুর্সি দখলে মরিয়া বিজেপি। এদিকে, নিজের জমি ধরে রাখতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে মমতা বাহিনী। রাজ্য রাজনীতির এহেন প্রেক্ষাপটে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতা সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ ঘিরে সরগরম রইল বঙ্গ রাজনীতি। তৃণমূল সরকারের বাজেটকে তুলোধনা করে আসরে নামলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ‘‘চালাকি করে, বোকা বানিয়ে শাসকদলের ভোট করার প্রবণতার প্রতিচ্ছবিই ধরা পড়েছে রাজ্য বাজেটে’’, এ ভাষাতেই শাসকশিবিরকে আক্রমণ করেছেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ?
রাজ্য বাজেট প্রসঙ্গে এদিন মমতাকে নাম না করে নিশানা করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘এটাই বোঝাতে চাইছেন এখন, এত কিছু টাকা-পয়সা দিচ্ছি, বিজেপির দিকে যাবেন না, আবার আমার দিকে আসুন। এসসিএসটি থেকে রাজ্যের সব মানুষই আমাদের সঙ্গে আছেন। কর্মসংস্থান, আইনশৃঙ্খলার সমস্যার সুরাহা না হলে ঘুষ দিয়েও ভোট পাওয়া যাবে না’’।
আরও পড়ুন: মমতা সরকারের বাজেট: একনজরে বড় ঘোষণা
এ প্রসঙ্গে মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ আরও বলেন, ‘‘শুনলাম এখানেও (পশ্চিমবঙ্গ) বিদ্যুতে ছাড় দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুতের ছাড় ১৫০ ইউনিট করতে পারতেন, সেটাতেও কৃপণতা। চালাকি করে, বোকা বানিয়ে শাসকদলের ভোট করার প্রবণতার প্রতিচ্ছবিই ধরা পড়েছে রাজ্য বাজেটে। ৯-১০ বছর ধরে রাজ্যে কোনও কর্মসংস্থান নেই। কেন বাংলার মানুষকে রাজ্যের বাইরে গিয়ে কাজ করতে হবে? এখানে বিনিয়োগের পরিবেশ নেই, শিল্পের পরিবেশ নেই। কাটমানি, সিন্ডিকেটরাজের অত্যাচারে লোক পালাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ সচেতন, সবই জানেন কী হচ্ছে। প্রত্যেকবারই মানুষকে বোকা বানিয়ে এসব শ্রুতিবাক্য শোনানো হয়’’।
অলঙ্করণ: অভিজিৎ বিশ্বাস
আরও পড়ুন: থানায় মুকুল রায়, ‘জীবনে কোনওদিন অনৈতিক কাজ করিনি’
উল্লেখ্য, এদিন বাজেট পেশ করতে গিয়ে একগুচ্ছ নয়া প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। চা বাগানের গৃহহীন শ্রমিকদের গৃহ নির্মাণের জন্য ‘চা সুন্দরী’ নামে প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে। সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বাংলার পডুয়াদের ‘উৎসাহ’ প্রদানের লক্ষ্যে কলকাতা, শিলিগুড়ি ও দুর্গাপুরে ‘মহাত্মা গান্ধী, জয় হিন্দ ও আজাদ’ নামে ৩টি সিভিল সার্ভিস অ্যাকাডেমি তৈরি করা হবে বলে জানানো হয়েছে। কর্ম সংস্থানের জন্য বেকারদের জন্য ‘কর্মসাথী’ প্রকল্পের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ‘জয়জহর’ প্রকল্পে তফশিলি জাতির অন্তর্ভুক্ত প্রবীণ নাগরিকদের জন্য রাজ্যে ১ হাজার টাকা মাসিক বার্ধক্য ভাতার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ‘হাসির আলো’ প্রকল্প- গরিব মানুষদের জন্য ৭৫ ইউনিট ‘বিদ্যুৎ’ বিনামূল্যে দেওয়ার প্রকল্পে বরাদ্দ করা হয়েছে ২০০ কোটি টাকা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন