Advertisment

‘ঝামেলা না হলে রাজনীতি হয় নাকি! ওরা করলে, আমরাও করব’, ফের বিতর্কে দিলীপ ঘোষ

‘‘বাংলায় ভোট হলে ঝুট-ঝামেলা হবে। মারপিট না করলে তৃণমূল জিততে পারবে না, মারপিট করলেও তৃণমূল জিততে পারবে না। সেরকমভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি’’।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
dilip ghosh, দিলীপ ঘোষ

বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও এনআরসি নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের মতো উত্তাল বাংলাও। এমন আবহে অশান্তির বার্তা দিয়ে ফের বিতর্কে জড়ালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ‘‘ঝামেলা না হলে রাজনীতি হয় নাকি! হয় ওরা করবে, না হয় আমরা করব’’, শুক্রবার কাঁথিতে অভিনন্দন যাত্রায় গিয়ে এমন মন্তব্যই করেছেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ। দিলীপের এহেন মন্তব্য ঘিরে রীতিমতো সরগরম রাজ্য রাজনীতি।

Advertisment

ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ?

তৃণমূলের শক্ত মাটি অধিকারী গড়ে গিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘ঝামেলা না হলে রাজনীতি হয় নাকি! হয় ওরা করবে, না হয় আমরা করব। এটাই তো বাংলার রাজনীতি’’। এরপর দিলীপ বলেন, ‘‘পুরভোটের প্রস্তুতি চলছে। পুরো শক্তি লাগিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা। জানি, বাংলায় ভোট হলে ঝুট-ঝামেলা হবে। মারপিট না করলে তৃণমূল জিততে পারবে না, মারপিট করলেও তৃণমূল জিততে পারবে না। সেরকমভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি’’।

আরও পড়ুন: ‘ভোটার আইডি-রেশন কার্ড লাগবে না’, তাহলে কীভাবে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে? জানালেন দিলীপ ঘোষ

ভিডিও- মানস জানা।

অন্যদিকে, বিজেপিতে অনেক ‘আবর্জনা’ মিশেছে বলে এদিন স্বীকার করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘আবর্জনা পরিষ্কার করার প্রক্রিয়া চলছে। অনেক লোককে আমরা দলে নিয়েছি। আবার নতুন লোকও আসছে। তবে যাঁরা দলের নিয়মশৃঙ্খলা মেনে চলবেন, তাঁরাই দলে থাকবেন। আর যাঁরা মানবেন না, তাঁরা আলাদা হয়ে যাবেন’’।

আরও পড়ুন: ‘একুশে বাংলায় তৃণমূল সরকার, কারণ ভাই-বোনের লড়াই বাহ্যিক’

উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গে বিজেপির ‘অভূতপূর্ব’ উত্থানের পরই তৃণমূলের বহু নেতা-কর্মী বিজেপিতে যোগ দেন। এই স্রোতে যোগ দিয়ে পদ্ম পতাকা হাতে তুলেছেন তৃণমূলের সব্যসাচী দত্ত, শোভন চট্টোপাধ্যায়। যদিও বিজেপিতে যোগদানের কিছুদিনের মধ্যেই পদ্মবাহিনীর সঙ্গে শোভনের অসন্তোষ সামনে আসে। শোভনের সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন অধ্যাপিকা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। যোগদানের কিছুদিনের মধ্যেই বিজেপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন শোভন-বৈশাখী। এরপর থেকেই যত দিন গড়িয়েছে বিজেপির সঙ্গে ততই দূরত্ব তৈরি হয়েছে বঙ্গ রাজনীতির ওই চর্চিত জুটির। সেই প্রেক্ষিতে দিলীপের এদিনের মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

dilip ghosh
Advertisment