‘চেয়েছিল শুদ্ধিকরণ করতে, কিন্তু শ্রাদ্ধ করে ফেলছে’, এ ভাষাতেই কাটমানি ইস্যুতে এবার তৃণমূলকে কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ। সোমবার বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘মানুষের বিশ্বাস যখন চলে যায়, তখন কোনও ওষুধই কাজ করে না। ওঁরা যেটা ভেবেছিলেন, উল্টো হয়েছে। শুদ্ধিকরণ করতে গিয়ে শ্রাদ্ধকরণ হয়ে যাচ্ছে’’।
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ঘুরে দাঁড়ানোর কৌশল হিসেবে নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ মেনেই দলের নেতাদের কাটমানির টাকা ফেরতের নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কাটমানির টাকা ফিরিয়ে জনমানসে দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকেই সামনে আনার কৌশল নিতে চাইছে তৃণমূল, এমনটাই মত ওই অংশের। কিন্তু কাটমানির টাকা ফেরত ঘিরে রাজ্যজুড়ে কার্যত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যত দিন যাচ্ছে, কাটমানিকাণ্ডে ততই অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূলের। এই প্রেক্ষাপটেই দিলীপ ঘোষের এদিনের মন্তব্য।
আরও পড়ুন: বৈশালী ডালমিয়ার বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল নেতার
কাটমানি ইস্যুতে দিলীপ ঘোষ এদিন আরও বলেন, ‘‘খবরে পড়লাম, আমাদের লোকেরা মধ্যস্থতা করে টাকা ফেরাচ্ছেন। ওরাও মেনে নিয়েছেন যে টাকা নিয়েছেন, খুশিতে টাকা ফেরত দিচ্ছেন। একদিক থেকে ভাল যে, আমাদের রাজনীতিবিদদের ইমেজ খারাপ হয়ে গিয়েছে তৃণমূল জমানায়, সেই ইমেজ বদলাবে মানুষের বিশ্বাস ফিরবে আশা করছি। এটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। বাংলায় আগে কখনও দেখিনি’’।
অন্যদিকে, দলবদলে বিজেপিতে আসার আগে নেতাদের সম্পর্কে ভাল করে খোঁজখবর নিয়েই দলে নেওয়া হবে বলেও এদিন ফের জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘‘বহু মানুষ বিজেপিতে যোগ দিতে চাইছেন। সব খোঁজ খবর নিয়ে নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেই যোগদান করাব’’। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই এ প্রসঙ্গে দিলীপ বলেছিলেন, ‘‘বহু লোক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, বুঝতে পেরেছেন, সুদ-আসল একসঙ্গে উশুল হবে। তাই বিজেপিতে আসছে। আমি বলছি, আসবেন আপানারা, নিশ্চয়ই নেব। কিন্তু কারও টাকা নিয়ে থাকলে শোধ করে আসতে হবে…বিজেপি দল অনেক বড়। আমাদের মন অনেক বড়। বিশ্বের সবচেয়ে বড় দল’’।