মুখ্যমন্ত্রীকে শাড়ির বদলে বারমুডা পরা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। তৃণমূল থেকে শুরু বিভিন্ন মহল থেকে একজন মহিলার পোশাক নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করার জন্য বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের তীব্র নিন্দা করা হয়। কিন্তু নিজের অবস্থানেই অনড় থাকলেন দিলীপ। বললেন, তিনি ভুল কিছু বলেননি।
এদিন দিলীপ ঘোষ বলেছেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের মুখ্যমন্ত্রী। একজন মহিলা। আমরা তাঁর কাছ থেকে এরকম শালীনতা আশা করব যা আমাদের বাংলার সংস্কৃতির পরিচায়ক। একজন মহিলা শাড়ি পরেছেন, আর বারবার পা বের করে দেখাচ্ছেন। এটা শালীনতা নয়। আমি এর প্রতিবাদ করেছি। আমাদের মহিলারাও একই কথা বলছেন।"
প্রসঙ্গত, পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে দলীয় প্রার্থীর হয়ে সভা করছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই তাঁর আক্রমণের বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে মুখ্যমন্ত্রীর ভাঙা পা। মমতার হুইলচেয়ারে করে প্রচার, এক পায়ে প্লাস্টার বাঁধা অবস্থায় ঘোরাফেরা কে ‘নাটক বলে দাবি করেন তিনি। সেই কটাক্ষের সূত্রেই এদিন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘প্লাস্টার কাটা হয়ে গেল। ফের ব্যান্ডেজ বাধা হয়ে গিয়েছে। আর পা তুলে তুলে সবাইকে দেখাচ্ছেন। শাড়ি পরে এসে একটা পা ঢাকা। একটা খোলা। এমন শাড়ি পরতে দেখিনি। যদি পা’টা বের করে রাখতে পারেন, তাহলে শাড়ি কেন বারমুডা পরলেই পারেন! পরিষ্কার দেখা যায়। কত নাটক আর দেখব।’
দিলীপবাবুর মন্তব্য ঘিরে অবশ্যে সমালোচনার ঝড়। প্রতিবাদে মুখর তৃণমূল। জোড়া-ফুল শিবিরের দলীয় টুইটার হ্য়ান্ডলারে বলা হয়েছে, ‘এইরকম কুরুচিকর মন্তব্য দিলীপবাবু ছাড়া আর কারোর থেকে প্রত্যাশিত নয়! একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর সম্বন্ধে এইরকম নিন্দনীয় ভাষা প্রয়োগ প্রমাণ করে যে বিজেপি নেতারা মহিলাদের সম্মান করে না। বাংলার মা-বোনেরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি এই অপমানের যোগ্য জবাব দেবে ২ মে।’