বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে ‘ওপেন চ্যালেঞ্জ’ জানালেন রাজ্যের বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ১৫ দিনের মধ্যে যদি দিলীপ ঘোষ নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা না চান বা ভুল স্বাকীর না করেন তাহলে মানহানির মামলা করবেন বলেও হুঁশিয়ারী দিলেন ডোমজুরের বিধায়ক। সোমবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি এ রাজ্যে আয়লার খাতে কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া অর্থের হিসেব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। মঙ্গলবারই পাল্টা হুঙ্কার ছেড়েছেন রাজীবও।
মঙ্গলবার রাজ্যের প্রাক্তন সেচমন্ত্রী বলেন, "যদি আমি টাকা আত্মসাৎ করে থাকি, আপনাকে ১৫ দিন সময় দিলাম ৭দিনও না ১০দিনও না। ১৫ দিনের মধ্যে সমস্ত তথ্য নিয়ে প্রমান দিন আমি টাকা নয়ছয় করেছি। যদি এক টাকাও নয়ছয় করে থাকি প্রমাণ করতে পারেন তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। আর আপনি যদি ১৫ দিনের মধ্যে প্রমাণ করতে না পারেন তাহলে আপনাকে ক্ষমা চাইতে হবে বা বলতে হবে মুখ ফস্কে বেরিয়ে গিয়েছে। তা না হলে আপনার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব।" রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, "বরং এ রাজ্যে এসে তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উমা ভারতী কাজের প্রশংসা করে গিয়েছেন।কীভাবে টাকার জন্য তাঁর কাছে তদ্বির করেছি তা-ও জেনে নিন"।
সোমবার দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেছিলেন কেন্দ্র থেকে টাকা আসা সত্বেও বাঁধের কাজ হয়নি। টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। অভিযোগের তির ছিল ততকালীন সেচমন্ত্রী ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাজীব বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনেছেন দিলীপ ঘোষ’। তার পাল্টা রাজীব বলেন,আপনি কী ধরনের কথা-বার্তা বলেন সেটা বাংলার মানুষ জানেন। আপনার বিরুদ্ধে কী ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ আছে তা ঘাঁটলেই পাওয়া যাবে। তা আর বলতে চাইছি না। শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও অভিযোগ আছে।
রাজীব নিজের স্বপক্ষে একাধিক দাবি পেশ করেছেন। তিনি বলেন, "আমি ২০১২ সালের শেষ দিকে সেচ দফতরের দায়িত্ব নিয়েছিলাম। যাঁরা আজ আয়লার বাধ বা বিভিন্ন বাধ নিয়ে কথা বলছেন তাঁরা না জেনে কথা বলছেন। ২০০৯-র ২৫ মে আয়লা এসেছিল। আয়লার সময় ১ কিলোমিটার বাঁধও আগের সরকার বাঁধেনি। তারা মাত্র ২৭ একর জমি অধিগ্রহণ করেছিল। টাকার কথা বলছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক অনুমোদন ছিল ১২০০ কোটি টাকার কিছু বেশি। তার মধ্যে জমি অধিগ্রহণ রয়েছে। যা জেলাশাসকরা সরাসরি করেছেন। আমার সময়, ২০১২ থেকে ২০১৮ এর জুন অবধি স্বাধীনতার পর সেচ দফতেরের কাজের রেকর্ড অনুযায়ী এই রাজ্যে সব থেকে বেশি হয়েছে। আমার সময় ১০৯ কিলোমিটার কংক্রিটের বাঁধ হয়েছে। যার ফলে আমফানের দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেয়েছে ওই এলাকা। আরও ১৮ কিলোমাটারে কাজ চলছে। চলুন দিলীপবাবুকে দেখিয়ে দেব। এছাড়া সুন্দরবনের আরও ২০০ কিলোমিটার শক্ত বাঁধের জন্য আমফান মোকাবিলা করা গিয়েছে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন