Dilip Ghosh: দিল্লি সফর সেরে রাজ্যে ফিরেই বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগেন দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি ট্রেনে চেপে খড়গপুরে পৌঁছন তিনি। দিলীপ ঘোষ নামেন হিজলি স্টেশনে। সেখানেই উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি। নিজে না পারলে অন্যর কারও ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এভাবেই সরব হয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভ্যাস হয়ে গেছে, নিজে না পারলে অন্য কারও ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেওয়া। দশ বছর ধরে উনি এখানে মুখ্যমন্ত্রী আছেন । বন্যা নিয়ন্ত্রণে উনি কী করেছেন? কলকাতাকেই বাঁচাতে পারছেন না। ঘাটাল, খানাকুল, আরামবাগ, ময়না-সহ বাকি জায়গাগুলো তার কোনও মা-বাপ নেই।‘
তাঁর অভিযোগ, ‘তিন বছর আগে উত্তরবঙ্গে বন্যা হয়েছিল। তিনি গেলেন দুই দিনাজপুর, মালদা ভেসে গিয়েছিল। উনি মালদায় গেলেন জলের ওপরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছবি তুলে চলে এলেন। দিনাজপুর গেলেন না। আমি গিয়েছিলাম, নৌকা চেপে ঘুরেছিলাম। এবারও ছবি তুলে চলে গেছেন। উনি ভেবেছেন মিটে গিয়েছে, আবার পরের বছর বন্যা হবে একই রকম ছবি উঠবে। সাধারণ মানুষের কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। শত-শত হাজার হাজার কোটি টাকা কেন্দ্র রাজ্যকে দিয়েছে। সেগুলো গেল কোথায়? সব ওঁর ভাইদের পেটে চলে গেছে। কপালেশ্বরী নদীর ২২৫ কোটি টাকা মানসবাবু দিল্লি থেকে নিয়ে এসেছিলেন। উনি সেচমন্ত্রী ছিলেন। সে টাকা কোথায় গেল ? নদীটাই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। জল বেরোচ্ছে না। ডিভিসি রাজ্য সরকারের সাথে কথাবার্তা বলে জল ছাড়ে। এখন সামলাতে পারছে না ডিভিসিকে দোষ দিচ্ছে।সব ভগবানের ওপর ছেড়ে রেখেছেন।"
এদিন সাংবাদিকদের তরফে তাঁকে অভিনেতা সাংসদ দেবের সাম্প্রতিক মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি বলেন, 'দিদি ১০ বছর মুখ্যমন্ত্রী। দেব সাত বছর সাংসদ। কী করেছেন? ভেবেছিলেন, এই ভাবেই চলে যাবে। বন্যা হলেই মনে পড়ে। মানুষ কি জলে ভাসবে বলে ভোট দিয়েছিলেন? এখনও বলছে, দিদি প্রধানমন্ত্রী হলে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান হবে। সাতমন তেল পুড়বে, আর রাধা নাচবে। এর জন্য কেউ বেঁচে থাকলে দেখে যাবেন।‘
এদিকে, আগামী ডিসেম্বরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বদল হবে। এমন জল্পনা তুঙ্গে রাজ্য বিজেপিতে। চার মাস আগেই দৌড়ে একাধিক নাম উঠেছে বলে খবর। এপ্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, "আমি এখনও রাজ্য সভাপতি দেড় বছর আছি। কেউ কারও কাছে নাম চায়নি। আমি যখন রাজ্য সভাপতি হয়েছিলাম, কার থেকে নাম চাওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রের লোকের কাছে যথেষ্ট খোঁজ খবর আছে। তাঁরা যদি কিছু মনে করেন, করবেন। দলের সংবিধান আছে। সেই সংবিধান অনুযায়ী আমি দলের সভাপতি। বাইশের শেষ পর্যন্ত মাননীয় নাড্ডাজি ও আমি কমিটিতে আছি। দল যদি মনে করবে কোন পরিবর্তন করবে তাহলে সেটা সবার সাথে কথা বলেই করবে।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন