নিউ টাউন শ্যুটআউট-কাণ্ডে ইতিমধ্যে পাকিস্তান যোগ হাতে সিআইডি। এবার সেই পথেই রাজ্য সরকারের ওপর চাপ বাড়ালেন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন নিউটন-কাণ্ডে একটি ফেসবুক পোস্ট করেন এই বিজেপি সাংসদ। সেই পোস্টে বিজেপির রাজ্য সভাপতি লেখেন, ‘নিউ টাউন শ্যুটআউট-কাণ্ডে এবার মিলেছে পাকিস্তান যোগ। পাকিস্তানি ভিজিটিং কার্ড-সহ মিলেছে একাধিক সুত্র।‘
কটাক্ষের সুরে এই সাংসদের প্রশ্ন, ‘কলকাতাকে লন্ডন বানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্রমাগত পাকিস্তান বানিয়ে ছাড়ছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী?’ এদিকে, নিউ টাউন-কাণ্ডে তদন্তের গতি যত এগোচ্ছে, তত চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে আসছে। এবার জানা গিয়েছে, পাকিস্তান পর্যন্ত বিছিয়ে পাঞ্জাবের দুই গ্যাংস্টারের মাদক-চক্রের জাল। জয়পাল ভুল্লার ও যশপ্রীত সিংয়ের পাকিস্তান যোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসেছেন গোয়েন্দারা। সুখবৃষ্টি আবাসনের যে ফ্ল্যাটে গ্যাংস্টাররা গা ঢাকা দিয়েছিল, সেখানে আলমারিতে থাকা পোশাকের প্লাস্টিকের প্যাকেটে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ঠিকানা মিলেছে বলে সূত্রের খবর। দেখুন সেই পোস্ট:
উর্দু ভাষায় লেখা সেই কথা দেখেই চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের। তবে এই প্লাস্টিক অন্যভাবেও তাদের কাছে পৌঁছতে পারে, এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না গোয়েন্দারা। পাঞ্জাবের লুধিয়ানা পুলিশের সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত দুষ্কৃতীরা আফিম-হেরোইন সহ বহু মাদক চোরাচালানের কারবারে যুক্ত ছিল। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশ এবং কাশ্মীর হয়ে চক্রের জাল বিস্তার হয়েছে। পোশাকের প্লাস্টিকে পাকিস্তানের প্রমাণ মিললেও, তারা আদৌ পাকিস্তানে গিয়েছিল কি না তা স্পষ্ট নয়। সেটা তদন্ত হচ্ছে।
অপরদিকে, নিউটাউন এনকাউন্টার কাণ্ডে খোঁজ মিলল সাপুরজি আবাসনের সেই ফ্ল্যাট মালিকের। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার গভীর রাতে সুমিত কুমারের নামে ভাড়া নেওয়া ওই ফ্ল্যাট। কে এই সুমিত কুমার, ভুয়ো নাম ব্যবহার করেই কি ওই ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়া হয় নাকি এর নেপথ্যে বড় কোনও রহস্য রয়েছে তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। তদন্তে উঠে এসেছে, একটি রিয়েল এস্টেট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফ্ল্যাট ভাড়া নেয় দুষ্কৃতীরা। এরপর দুজন দালালের মাধ্যমে ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়া হয়। ডিপোজিট বাবদ ২০ হাজার টাকা এবং মাসিক ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে সেই ফ্ল্যাট হস্তান্তর হয়েছিল।
বুধবার নিউ টাউনে সাপুরজি আবাসনে এনকাউন্টারে দুই গ্যাংস্টার নিহত হয়। রাজ্য পুলিশের এসটিএফ-এর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত ওয়ান্টেড জয়পাল ভুল্লার এবং জশপ্রীত পারমার। এদিন গ্যাংস্টার নিকেশের পর ঘটনাস্থলে র্যাফ নামানো হয়। ডাকা হয় সিআইডির বম্ব স্কোয়াডকে। এলাকা ঘিরে রেখে তল্লাশি অভিযান চালায় তারা। যে ফ্ল্যাটে ওই দুই জন ভাড়া ছিল, সেখানে কোনও বিস্ফোরক রাখা কিনা? খতিয়ে দেখে বম্ব স্কোয়াড। অন্য কোনও সন্দেহভাজন আবাসনে লুকিয়ে কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা হয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন