লকডাউনের চতুর্থ দফায় রাজ্যকে পুনরায় স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে এবং রাজ্যের ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য কর্মক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু তৃণমূল সুপ্রিমোর এই নির্দেশের ফলেই রাজ্যে আরও বাড়বে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই ছাড়ের বিরোধিতা করে দিলীপ ঘোষ বলেন, "কেন্দ্র সারা দেশে সন্ধ্যে ৭টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত রাতের কার্ফু জারি করেছেন যাতে মানুষের এই যখন তখন বাইরে বেরিয়ে সামাজিক দূরত্ব লঙ্ঘনের বিষয়টিকে আয়ত্তে আনা যায়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার তা মানতে নারাজ। এমনকি বাংলার মানুষদের এই কার্ফু মানতে বারণ করছেন।" সাংবাদিকদের তিনি এও বলেন যে রাজ্যবাসীর জন্য ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই।
রাজ্য বিজেপি সভাপতির বক্তব্য, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া আটকাতে দেওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে তা অনুসরণ করা উচিত ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তা না করাতেই বীরভূম ও পূর্ব বর্ধমান-সহ রাজ্যের নতুন জেলাগুলিতে এই রোগের বিস্তার ঘটে শুরু করেছে বলে হুঁশিয়ারিও দেন দিলীপ।
সোমবার বৈঠক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কেবল বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন সেই তোপও দাগেন বিজেপি রাজ্য প্রধান। দিলীপ ঘোষ বলেন, " আসলে উনি নিজেই বিভ্রান্ত । তাই সীমাবদ্ধ অঞ্চলে তিনটি বিভাগ তৈরি করে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন"। তিনি এও বলেন, “লোকেরা কষ্ট পাচ্ছে, তবে এটি কেবল আমাদের রাজ্যেই ঘটছে না। কেন্দ্রীয় সরকার দুস্ত লোকদের খাবার সরবরাহ করছে।" বিজেপি নেতা বলেছিলেন যে কয়েক দিন ধরে অনাহারে থাকার চেয়ে জীবন বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তবে পরিযায়ী শ্রমিকদের খাদ্য ও আশ্রয়ের জন্য শত শত কিলোমিটার পথ পাড়ি বিষয় অস্বীকার করে সাংসদ বলেন, "খাবারের অভাব থাকলে এই দেড় মাসে অনেক লোক মারা যেত।"
অন্যদিকে, রাজ্য আমফান মোকাবিলা নিয়ে যথেষ্ট প্রস্তুত নয় সেই বিষয়েও মমতাকে নিশানা করেন দিলীপ। বিজেপি সাংসদের মতে এই ঘূর্ণিঝড়ে রাজ্যে এক কোটিরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হতে পারে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন