বাবুল সুপ্রিয়কে ‘চরম হেনস্থার’ ঘটনায় ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি দিলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যাদবপুরকাণ্ডে শুক্রবার দিলীপের হুঙ্কার, ‘‘বাবুলের গায়ে যারা হাত দিয়েছে, তাদের হাত কীভাবে ভাঙতে হয়, তা আমরা জানি। আজ হোক বা কাল, তা আমরা করবই। যত বড়ই ছাত্র বা শিক্ষক হোক না কেন, এটা করার ক্ষমতা আমাদের আছে’’। দিলীপ আরও বলেন, ‘‘বেহায়ার সীমা ছাড়িয়েছে যাদবপুরের ছাত্ররা’’। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে নিগ্রহের ঘটনায় কার্যত হুঁশিয়ারির সুর বিজেপি নেতাদের গলায়। দিলীপের এহেন হুঙ্কারের আগে এদিন রাজ্য বিজেপির অন্যতম নেতা সায়ন্তন বসু বলেছেন, ‘‘যাঁরা বাবুলের উপর আক্রমণ করেছেন, তাঁদের রাস্তায় ফেলে পেটানো উচিত ছিল। আজকে থেকে পেটানো শুরু হবে’’।
আরও পড়ুন: Babul Supriyo Heckled Case Live: ‘বাবুলকে নিগ্রহে জড়িত বহিরাগতরা’, রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ মুকুলের
আরও পড়ুন: হামলাকারীকে চিহ্নিত করলেন মন্ত্রী, ছেলেকে ক্ষমা করে দেওয়ার আর্তি মায়ের
অন্যদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনিয়ন রুম ভাঙচুরের ঘটনাকেও সমর্থন করেছেন দিলীপ ঘোষ। এদিন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘‘১০০ বার ভাঙবে, বন্ধ করে দেওয়া উচিত। ওখানে দেশদ্রোহিতার শিক্ষা দেওয়া হয়। দরকার হলে কমিউনিস্টদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেব যাদবপুরে’’। উল্লেখ্য, বাবুলকে নিগ্রহের পরই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটে ছাত্র ইউনিয়নের রুমে ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে এবিভিপি ও দুর্গা বাহিনীর বিরুদ্ধে। তবে সমর্থন জানালেও এদিন দিলীপ বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, ওরাই এসব করে আমাদের উপর চাপাচ্ছে’’। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের কর্মীরাও লাঠি নিয়ে গিয়েছেন। কারণ, দুষ্টকে দমন করার জন্য কেউ মিষ্টি নিয়ে যান না’’।
আরও পড়ুন: রাজীব কুমারের বাড়িতে ফের সিবিআই, তল্লাশি বিষ্ণুপুরের রিসর্টেও
বাবুল সুপ্রিয়র নিগ্রহকারী প্রসঙ্গে দিলীপ এদিন বলেন, ‘‘যে ছেলেটা বাবুলের চুলের মুঠি ধরে টেনেছে, সে যাদবপুরের ছাত্র নয়, সংস্কৃত কলেজের ছাত্র। আমাদের কাছে সব তথ্য রয়েছে’’। এরপরই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যকে বিঁধে দিলীপের কটাক্ষ, ‘‘উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য অসুস্থতার ভান করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন’’। উল্লেখ্য, বাবুলকে হেনস্থার ঘটনার সময়ই অসুস্থ হয়ে দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য।
অন্যদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে দিলীপ এদিন বলেন, ‘‘শুধু এসএফআই, নকশালই নয়, টিএমসিপি-র সদস্যরাও গো ব্যাক বলেছে বাবুলকে। একথা কি অস্বীকার করতে পারবেন পার্থবাবু? ওঁর আমলেই শিক্ষাঙ্গন রাজনীতির আখড়া হয়েছে’’।