রাজনীতি ছেড়ে পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের কথা ভাবুন, নিট-জেইই এবং করোনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনায় সরব রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
৩০ সেপ্টম্বরের মধ্যে দেশের সমস্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনাল পরীক্ষা নিতে হবে। ইউজিসির এই নির্দেশ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছে, কোনও রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হলে ইউজিসির কাছে পরীক্ষা বন্ধ রাখার আবেদন করতে পারে। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ইউজিসি। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করে দিয়েছেন সেপ্টেম্বরে রাজ্যে পরীক্ষা হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটুকু বলতে পারি সেপ্টেম্বর মাসে পরীক্ষ হবে না। প্রশ্নই আসে না। পুজোর আগে পরীক্ষা নেওয়া যায় কীনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” অন্যদিকে জেইই-নিট পরীক্ষা করা নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ৬ বিরোধী শাসিত রাজ্যের মন্ত্রীরা।
কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ?
নিট-জেইই নিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে মেদিনীপুরের সাংসদ বলেছেন, 'কেন্দ্র বলছে লক্ষ লক্ষ পড়ুয়া প্রবেশিকা পরীক্ষায় বহসতে ইচ্ছুক। রাজনীতি না করে শিক্ষা ও পড়ুয়াদের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত সবার মেনে নেওয়া উচিত। পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের কথা ভাব উচিত। পড়ুয়াদের যাতায়াত-থাকার ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্যকেই।'
পাশাপাশি রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়েও সরব হন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, 'কঠোরভাবে প্রয়োগ না হলে লকডাউনের কোনও মানে থাকে না। তৃণমূল নেতা-কর্মীদের লকডাউন বিধি মেনে চলা উচিত। রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার জন্যই বাংলায় করোনা সংক্রমণ এই হারে বাড়ছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই রাজনৈতিক মহামারী ছড়াচ্ছেন। করোনা নিয়ে রাজনীতি করবেন না।'
শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা মাঠে পাঁচিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদের দাবি, 'শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষার পরিবেশের সঙ্গে রাজ্য সরকার আপোস করছে। মমতা নিজেই বাংলায় শিক্ষার সাথে সম্পর্কিত সমস্ত দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।'
কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রকল্প থেকে রাজ্যবাসী বঞ্চিত বলেও অভিযোগ করেন দিলীপ ঘোষ। এর জন্য দায়ী করা হয় মমতা সরকারকে। তাঁর খোঁচা, পড়ুয়ারা বুঝতে পারছেন যে এ রাজ্যে কর্মসংস্থানের কোনও সুযোগ নেই।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন