সম্প্রতি নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, উপনির্বাচন মিটলেই রাজ্যে পুরভোট। সেই ঘোষণা হতেই ফের প্রাক-নির্বাচনী যুদ্ধে গা ভাসাতে তৎপর হল বিজেপি। বিধানসভা ভোট পরবর্তী পরিস্থিতিতে দলের সাংগঠনিক অবস্থা খতিয়ে দেখতে তিনদিনের উত্তরবঙ্গ সফরে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এরাজ্যে বিজেপির বাড়বাড়ন্তের পিছনে উত্তরবঙ্গের ভূমিকা অপরিসীম। এমনটাই মনে করে মুরলিধর সেন লেন। গত লোকসভা নির্বাচন কিংবা বিধানসভা নির্বাচন; দু’হাত ভরে বিজেপিকে ভোট দিয়েছে।
ভোট পরবর্তী দলীয় বিশ্লেষণে এই পরিসংখ্যান হাতে পেয়েছে বিজেপির রাজ্য কমিটি। দলীয় সূত্রে খবর, আবার বঙ্গ ভোটের বিপর্যয়ের পর উত্তরবঙ্গ থেকে দলের ভাঙন শুরু হয়েছে। সম্প্রতি আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপি সভাপতির তৃণমূলে যোগদান সেই ইঙ্গিত দিয়েছে। তাই উত্তরে দলের সংগঠনকে চাঙা রাখতে তিন দিনের সফরে রাজ্য বিজেপির সভাপতি। এমনটাই দলীয় সূত্রে খবর।
এদিকে, এই সফরের প্রথম দিনে শিলিগুড়ি দাঁড়িয়ে ভ্যাকসিন-কাণ্ড-সহ দলের ভাঙন নিয়ে বিজেপির অবস্থান স্পষ্ট করলেন দিলীপ ঘোষ। শনিবারই কলকাতা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নামেন। সেখান থেকে তাঁর সোজা কোচবিহারের তিনবিঘা করিডর এলাকায় দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা। তাঁর আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী পৌরসভা নির্বাচনে ও দলের আগামী দিনের রনকৌশল ঠিক করা হবে। বিজেপি ছেড়ে যারা তৃণমূলে যাওয়ার চলে গিয়েছে। আর কেউ যাওয়ার নেই। দলের বোঝাটা কমে গিয়েছে। জঞ্জাল সাফ হয়েছে। কাজের লোক যারা আছেন তাঁরা কোনওদিন দল ছাড়বেন না।‘ পাশাপাশি ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হয়ে তিনি বলেন, 'ভোটের ফলঘোষণার পর থেকে আমাদের কার্যকর্তাদের টার্গেট করা হচ্ছে। তাঁদের পাশে থাকতেই জেলা সফর করছি।'
অপরদিকে, ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে তোলপাড় বাংলা। সুর চড়িয়েছে বিজেপি। তার মধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় শুক্রবার বোমা ফাটালেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডের নেপথ্যে রাজ্যের শাসক দলের নেতা, কর্মীরা সরাসরি জড়িত বলে তোপ দাগলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, পুরো বিষয়টিই সাজানো। ফেসবুকে দিলীপ ঘোষ লিখেছেন, ‘এত দিন অন্য সব বিষয়ে সিন্ডিকেট চলছিল। এখন ভ্যাকসিন সিন্ডিকেট চলছে। ভুয়ো ভ্যাকসিন পুরো সাজানো। এতে তৃণমূলের লোক যুক্ত।’
ফেসবুকে দিলীপ ঘোষ লিখেছেন, ‘এত দিন অন্য সব বিষয়ে সিন্ডিকেট চলছিল। এখন ভ্যাকসিন সিন্ডিকেট চলছে। এখানে এসএসসি, টেট, সিভিক পুলিশের চাকরির জন্য পয়সা নেওয়া হয়। ভ্যাকসিন পড়ে থাকছে, দেওয়া হচ্ছে না। তার উদ্দেশ্য ক্রাইসিস তৈরি করা। হাতবদল হয়ে চড়া দামে ভ্যাকসিন বিক্রি করা হচ্ছে। এর মধ্যে তৃণমূল নেতাদের হাত রয়েছে। ভুয়ো ভ্যাকসিন পুরো সাজানো। এতে তৃণমূলের লোক যুক্ত আছে।’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন