বৃহস্পতিবারই রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তভার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ আদালতের এই রায়ে খুশি রাজ্য বিজেপি৷ ‘‘হতাশা কাটানোর রাস্তা দেখাল আদালত৷ এই রায়ের ফলে আদালত-সংবিধানের উপর মানুষের আস্থা বেড়ে গেল৷ পীড়িতদের মনে শান্তি এসেছে, সাহস এসেছে৷’’ এমনই প্রতিক্রিয়া বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের৷
বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বিরোধী নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের উপর হামলা হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে৷ বিজেপি এক্ষেত্রে কাঠগড়ায় তোলে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে৷ জোড়াফুলের নেতাদের মদতেই রাজ্যে বিরোধীদের উপর হামলা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলে বিজেপি৷ পরবর্তী সময়ে পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আসে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দল৷ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা৷
আরও পড়ুন- দাঙ্গায় আহতদের জাতীয় সঙ্গীত গাইতে জোর, ১৭ মাস পর চিহ্নিত দিল্লি পুলিশের তিন কর্মী
ওই রিপোর্টকে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসায় কাঠগড়ায় তোলা হয় তৃণমূলকে৷ যা নিয়ে তীব্র আপত্তি তোলে শাসকদল৷ উল্টে NHRC-র দলকে বিজেপির মদতপুষ্ট বলে অভিযোগে সরব হয় তৃণমূল৷ বৃহস্পতিবার ভোট পরবর্তী অশান্তি ইস্যুতে কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপি৷ দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন, ‘‘এত হিংসা, মৃত্যু, মহিলাদের উপর অত্যাচার মানতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী৷ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের টিমকে বিজেপির টিম বলেছে৷ এখানকার পুলিশের চরিত্র তুলে ধরেছে মানবাধিকার কমিশন৷ শুধুমাত্র বিজেপি করার অপরাধে ৭০-৮০ হাজার লোক ঘরছাড়া হয়েছেন৷’’
উল্লেখ্য, রাজ্যে ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলার তদন্তের দায়িত্ব সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ খুন, ধর্ষণ, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মতো ঘটনাগুলির তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ তবে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলির ক্ষেত্রে সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে মামলার তদন্তের রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে সিবিআই ও সিটকে৷
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন