র্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকে এবার আট রাজ্যে দলের সংগঠন সামলানোর ভার দিলেন জেপি নাড্ডা। এদিকে, দিলীপের দলে এই পদোন্নতি নিয়ে অবশ্য তাঁকে পাল্টা বিঁধে সরব বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায়। ফেসবুকে দিলীপ ঘোষকে বিঁধে তথাগতর পোস্ট, ''অপসারণ না উত্থান, প্রশ্ন বিজেপিতে।''
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, এরাজ্যে বিজেপির যাবতীয় উত্থান তাঁরই হাত ধরে। তবে একুশের বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর দিলীপ ঘোষকে রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেন শাহ-নাড্ডারা। দিলীপের জায়গায় বঙ্গ বিজেপির দায়িত্ব দেওয়া হয় বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে।
তবে দলে দিলীপের পদোন্নতিই হয়। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি করা হয় দিলীপ ঘোষকে। দলে সর্বভারতীয় পদ পেলেও অধিকাংশ সময়েই এরাজ্যে রয়ে গিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। দলের হয়ে প্রায় সব কর্মসূচিতেই দেখা গিয়েছে তাঁকে। নিয়মিত শাসকদলের সমালোচনায় এখনও দিলীপের জুড়ি মেলা ভার।
এহেন দিলীপ ঘোষকেই এবার পাকাপাকিভাবেই বাংলা থেকে সরতে হচ্ছে। সম্প্রতি দিল্লিতে বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই দিলীপ ঘোষকে বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, আন্দামানের পাশাপাশি উত্তর-পূর্বের চার রাজ্য, অসম, ত্রিপুরা, মণিপুর এবং মেঘালয়ে দলের সংগঠন দেখার ভার দিয়েছেন সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। আপাতত বঙ্গ বিজেপির কোনও দায়িত্বই দেওয়া হয়নি দিলীপ ঘোষকে।
আরও পড়ুন- পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ বাধাবেন মোদী, ভবিষ্যদ্বাণী দেবাংশুর
২০২৪-এর লোকসভা নির্বাবনের আগে ৮ রাজ্যে দলের সংগঠন পোক্ত করার কাজই দেওয়া হয়েছে দিলীপ ঘোষকে। তবে দলে দিলীপ ঘোষের এই প্রোমোশন নিয়ে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায়। দিলীপ ঘোষের এই বাড়তি দায়িত্ব পাওয়া নিয়ে তথাগত রায়ের ফেসবুক পোস্ট নয়া বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এদিন তথাগত রায় ফেসবুকে লিখেছেন, ''দিলীপ আর বাংলার নন। রাজ্যের বাইরে বড় দায়িত্বে। অপসারণ না উত্থান, প্রশ্ন বিজেপিতে। অবশ্যই উত্থান, শুভেচ্ছা রইল।''