ফের ভাঙন তৃণমূলে। স্পিড পোস্টে চিঠি দিয়ে তৃণমূল ছাড়লেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল বিধায়ক দীপক হালদার।
প্রতিশ্রুতি মতই পয়লা ফেব্রুয়ারি নিজের রাজনৈতিক জীবন নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল বিধায়ক। দীপক হালদারের এই ঘোষণার সঙ্গেই যেন রবিবার শুভেন্দু অধিকারীর হুঁশিয়া কার্যকর হতে শুরু করল। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় জোড়া-ফুলের সংগঠন ভাঙনের যে হুমকি দিয়েছিলেন শুভেন্দু যেন এদিন থেকেই তার সূচনা হল।
তৃণমূল রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তীর কাছে স্পিড পোস্টে নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন দীপক হালদার। তবে দল ছাড়লেও এখনই বিধায়ক পদ ছাড়ছেন না বলেই জানিয়েছেন দীপক হালদার।
বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছিল ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল বিধায়কের। দলীয় কর্মসূচিতে তাঁকে দেখা যেত না। দলীয় আমন্ত্রণ না পাওয়াই তাঁর অনুপস্থিতির কারণ বলে দাবি দীপকবাবুর। এছাড়া দলের নেতা-কর্মীদের দ্বারা তিনি অপমানিত বলে একাধিকবার সোচ্চার হয়েছেন এই তৃণমূল বিধায়ক। নেতৃত্বকে জানিয়েও কোনও সমাধান মেলেনি বলে দাবি দীপক হালদারের। তাই শেষ পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ৩০ বছরের বেশি সম্পর্ক ভাঙতে তিনি বাধ্য হলেন বলে জানিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের দু'বারের বিধায়ক।
তৃণমূলের অন্দরের রাজনীতিতে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত দীপক হালদার। শোভন বিজেপিতে নাম লেখালেও সেই ঘনিষ্ঠতা শেষ হয়নি। গত মাসেই দীপক হালদারকে শোভনবাবুর দক্ষিণ কলকাতার বাড়িতে দেখা গিয়েছিল। ফলে তাঁর গেরুয়া শিবিরের যোগ নিয়ে জোর জল্পনা। দীপক হালদারের জোড়া-ফুল ত্যাগের পর সেই সম্ভাবনাকেই বাস্তবায়িত হতে চলেছে?
এই বিষয়টি অবশ্য স্পষ্ট করেননি ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক। যদিও বিজেপি সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বারুইপুরে বিজেপির যোগদান মেলায় পদ্ম পতাকা হাতে তুলে নেবেন তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন