মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা বিজেপির। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সমন্দর প্যাটেল ১২০০ গাড়ির কনভয় নিয়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। নিমুচ থেকে বিজেপি রাজ্য ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য এবং সিন্ধিয়া সমর্থক সমন্দর প্যাটেল কয়েকশ কর্মী সহ কংগ্রেসে যোগ দেন।
আমি বিজেপিতে দমবন্ধ বোধ করছিলাম- প্যাটেল
কংগ্রেসে যোগদানের পরে, প্যাটেল বলেন, যে তিনি সিন্ধিয়ার সঙ্গে বিজেপিতে গিয়েছিলাম কিন্তু সেখানে আমার দমবন্ধ হয়ে আসছিল। আমার পুরো পরিবার কট্টর কংগ্রেস। আমার সারা জীবন শুধু কংগ্রেসেই কেটেছে। আমি আবার আমার সেই পুরনো বাড়িতে ফিরে খুব স্বস্তি বোধ করছি”। প্যাটেলের পাশাপাশি অনেক কর্মী সমর্থক এদিন কংগ্রেসে যোগ দেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে বিরাট ধাক্কা, সমর্থক নেতা সহ ১২০০ গাড়ির কনভয়ে কংগ্রেসে যোগ বিজেপি বিধায়কের। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার হাত ধরেই বিজেপিতে যোগ দেওয়া তাঁর ঘনিষ্ঠ সমর্থক সমন্দর প্যাটেল গতকাল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। ১২০০ গাড়ির কনভয়ে কয়েকশ সমর্থক নিয়ে ভোপালে এসে কংগ্রেসে যোগ দেন। তিনি বলেন, দলে যে সম্মান পাওয়া উচিত ছিল তা তিনি পাননি। তাই ফের কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন তিনি।
বিধায়ক সমন্দর প্যাটেল, যিনি মধ্যপ্রদেশে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়ে কংগ্রেসের কমলনাথ সরকারকে পতন ঘটিয়েছিলেন তিনি আবার কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। পুরনো দলে ফিরে সমন্দর প্যাটেল বলেন,যে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টিতে "দমবন্ধ" পরিস্থিতিতে পড়ে যান।এই নিয়ে গত তিন মাসে তিনজন সিন্ধিয়া সমর্থক একই রকম শক্তি প্রদর্শনে কংগ্রেসে যোগ দেন।
গত ১৪ জুন, শিবপুরীর বিজেপি নেতা বৈজনাথ সিং যাদব সিন্ধিয়ার সঙ্গে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করেন এবং ৭০০ গাড়ির কনভয়ে কংগ্রেসে যোগ দেন। অন্যদিকে, ২৬জুন, শিবপুরীর প্রাক্তন সহ-সভাপতি রাকেশ কুমার গুপ্তও গাড়ির বহর নিয়ে কংগ্রেসে যোগ দেন।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সাথে কথা বলার সময়, সমন্দর প্যাটেল বলেছিলেন, “আমি সিন্ধিয়ার হাত ধরে দল ছেড়ে দিয়েছিলাম, কিন্তু বিজেপিতে গিয়ে একেবারে দমবন্ধ পরিস্থিতিতে পড়ি। আমাকে কোন কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি এবং আমাকে আমার যোগ্য সম্মানটুকুও দেওয়া হয়নি”।
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার দলে যোগ দিচ্ছেন সমন্দর প্যাটেল। ২০১৮ সালে টিকিট না পেয়ে তিনি কংগ্রেসের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। নির্দল হিসাবে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন। এর পরে, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে, তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন। কিন্তু ২০২০ সালের মার্চ মাসে, যখন সিন্ধিয়া কংগ্রেসের সঙ্গে বিদ্রোহ করেছিলেন, সমন্দর প্যাটেলও তাকে সমর্থন করেছিলেন। একজন সিন্ধিয়াপন্থী নেতা বলেন, ‘সমন্দর প্যাটেলের দল ছেড়ে যাওয়া বিজেপির ক্ষতি করতে পারে’।