বিধানসভায় জাতীয় সংগীতের আগে ওয়াকআউট করেন রাজ্যপাল। এই অনভিপ্রেত দৃশ্য দেখে রীতিমতো হতচকিত হয়ে গিয়েছিল তামিলনাড়ু বিধানসভা। এই ঘটনার একদিন পর মঙ্গলবার তামিলনাড়ুজুড়ে দেখা গেল 'গেট আউট রবি' লেখা পোস্টার। ডিএমকে সূত্রে খবর, মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন এই বিতর্ক এড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, রাজ্যপাল আরএন রবিই তাঁকে কার্যত কোণে ঠেসে দিয়েছেন। ডিএমকের শীর্ষ সূত্র জানিয়েছে, বিধানসভার নতুন অধিবেশন শুরু করার জন্য রবির বক্তৃতার খসড়া ৬ জানুয়ারি তৈরি করা হয়েছিল। পরের দিন তা অনুমোদন করা হয়েছে।
ঘটনার সময় বিধানসভায় উপস্থিত তামিলনাড়ু সরকারের এক মন্ত্রী বলেন, 'ডিএমকে জানত যে রবির সঙ্গে সরকারের সমস্যা হতে পারে। রাজ্যপাল বক্তৃতায় দ্রাবিড় মডেলের মত শব্দগুলো এড়িয়ে যেতে পারেন। কিন্তু, তিনি যে তামিল সমাজ সংস্কারক পেরিয়ার বা বিআর আম্বেদকরের নামও বক্তৃতা থেকে বাদ দেবেন, সেটা মানা যায় না। স্ট্যালিনও যখন এটা বুঝতে পারেন, বেশ খেপে যান।'
বিধানসভার এক আধিকারিক জানান যে হাউসের বিধি মতোই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রাজ্যপালের বক্তৃতা তামিল এবং ইংরেজি দুটো কপিই ছিল। এই বক্তৃতায় রাজ্য সরকারের কাজকর্ম ও তার সাফল্য তুলে ধরা হয়েছিল। বক্তৃতায় রাজ্য সরকারের নীতির একটি রূপরেখাও বোঝানো হয়েছিল। পাশাপাশি, চলতি অধিবেশনে সরকারের কার্যকলাপের এক সংক্ষিপ্ত বিবরণও ছিল এই বক্তৃতায়।
আরও পড়ুন- উন্নয়নের নামে পরিবেশ ধ্বংসের ফল জোশীমঠের ধস? ১৬ জানুয়ারি শুনানি সুপ্রিম কোর্টে
বক্তৃতা দিতে গিয়ে ঠিক কী করেছেন রাজ্যপাল রবি? তামিলনাড়ু বিধানসভার এক আধিকারিক বলেন, 'গোড়া থেকেই রাজ্যপাল দ্রাবিড় মডেলের মত কিছু বাক্যাংশ বাদ দিচ্ছিলেন। যাঁরা প্রথম বিষয়টি লক্ষ্য করেন, তাঁরা ভেবেছিলেন, রাজ্যপালের পড়তে গিয়ে ভুল হচ্ছে। কিন্তু, যখন দেখা গেল তিনি বক্তৃতায় সম্পূর্ণ অনুচ্ছেদ বাদ দিচ্ছেন, তখন মুখ্যমন্ত্রী একটা নোট পাঠান। কোনগুলো বাদ পড়েছে তা খুঁজে বের করার জন্য। তিনি তাঁর পাশে বসা জলসম্পদ মন্ত্রী দুরুাই মুরুগানের সঙ্গেও সামান্য কথাও বলেন। মুখ্যমন্ত্রী যখন জানতে পারেন যে রাজ্যপাল সমাজ সংস্কারক পেরিয়ার, আম্বেদকর, কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে কামরাজ, ডিএমকের প্রতিষ্ঠাতা আন্নাদুরাই এবং স্ট্যালিনের বাবা করুণানিধির নাম বক্তৃতা থেকে বাদ দিয়েছেন, তখন তিনি বিরক্ত হন।'
Read full story in English