সিপিএম থেকে বিজেপিতে। এবার তৃণমূল কংগ্রেসে। রাজ্যের প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী প্রয়াত নিরুপম সেনের ঘনিষ্ঠ আইনুল হক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন। বুধবার তৃণমূল ভবনে আরও এক প্রাক্তন বিজেপি নেতা তৃণমূলের পতাকা তুলে নিলেন। এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন ২০১৯-এ বীরভূম লোকসভার প্রার্থী ডা. রেজায়ুল করিম।
লোকসভা ভোটের মুখে পূর্ব বর্ধমানের তাবড় সিপিএম নেতা তথা বর্ধমান পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। লোকসভা ভোটের পর থেকেই বিজেপির জেলা অফিসে যাওয়া বন্ধ করে দেন আইনুল হক। বুধবার তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়ে আইনুল হক বলেন, "আজ দেশের বড় বিপদ। বিপন্ন সার্বভৌমত্ব, একই দেশের দুধরনের নাগরিক তৈরি করা, অর্থনৈতিক ইস্যুগুলিকে আড়াল করে ধর্মীয় জিগির তোলা। আমি মনে করছি এসবের বিরুদ্ধে একমাত্র লড়াই করতে পারে জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে তৃণমূলে যোগ দিলাম।"
এদিন তৃণমূল ভবনে ভারতীয় জনতা মজদুর ইউনিয়নের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুন্দর পাসোয়ানও যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তৃণমূল ভবনে এক অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট চিকিৎসক কৌশিক চাকী ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিলেন।
২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে বর্ধমান দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে সিপিএমের প্রার্থী হয়েছিলেন আইনুল হক। ২০১৯-এ বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র সিপিএমের হয়ে লড়াই করেছিলেন ডা. রেজাউল করিম। তবে দুজনেই পরাজিত হয়েছিলেন। এদিকে বেশ কয়েক দিন ধরেই রাজ্যের বামপন্থী বিধায়ক ও নেতাদের একাংশ অভিযোগ করে আসছে তৃণমূলে যোগদানের বিনিময়ে তাঁদের বড় ধরনের প্রলভন দেখাচ্ছে প্রশান্ত কিশোরের আই প্যাক। যদিও আই প্যাকের পক্ষ থেকে সেই দাবিকে উড়িয়ে দেওয়া হয়।
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে ঘর গুছানোর পালা চলছে। ২১ জুলাই শহিদ দিবসে তৃণমূলনেত্রী দলের পুরনো কর্মীদের ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। বিজেপি থেকে কয়েকজন ঘরেও ফিরেছেন। এবার বাম মনোভাবাপন্নদের দলে টানছে ঘাসফুল শিবির। অভিজ্ঞমহলের মতে, বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে লড়াই করতে পুরনো সিপিএমদের উপর ভরসা করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন