বাম ছাত্র সংগঠন ও যুব সংগঠনের নবান্ন অভিযান ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল আসানসোল দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে। বৃহস্পতিবার সকালে আসানসোলের বার্ণপুরের বার্ণ স্ট্যান্ডার্ড কারখানা থেকে নবান্নের উদ্দেশে বাইক মিছিলের ডাক দিয়েছিল এসএফআই ও ডিওয়াইএফ আই।
এই মিছিলে যোগ দিতে দুর্গাপুর থেকে নেতা-কর্মীরা রওনা দেন আসানসোলের দিকে। কিন্তু পুলিশ দুর্গাপুরের দুবচুড়ুরিয়াতে ছাত্র ও যুব নেতা ও কর্মীদের আটকে দেয়। গ্রেপ্তার করা হয় এসএফআই রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য সহ শতাধিক কর্মীকে।
আরও পড়ুন: ফের দিলীপের হুঙ্কার! পুলিশকে আবার হুঁশিয়ারি বিজেপি রাজ্য সভাপতির
ধৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এরপরে আসানসোলে বার্ণপুরে অবরোধ শুরু হয়। পরে পুলিশি আশ্বাস পেলে অবরোধ ওঠে। "পশ্চিম বর্ধমান জেলা বাঁচাও, নতুন শিল্প গড়ো", "বেকারদের কাজ দাও", "পড়াশোনার খরচ কমাও" এবং " জাত-ধর্মের হিংসা থামাও" - এই চারদফা দাবির ভিত্তিতে আজ আসানসোলে বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানা বার্ন স্ট্যান্ডার্ডের গেট থেকে বাম ছাত্র যুব সংগঠন মোটরবাইক সমাবেশের ডাক দিয়েছিল। সেইমতো দুর্গাপুর থেকে এসএফআই নেতা-কর্মীরা বাইক নিয়ে যখন আসানসোলের রাস্তায়, তখনই আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক মোদির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী, কমব্যাট ফোর্স এই মিছিল থামায়।
ছাত্র-যুবদের মিছিল আটকে দেওয়া হয়, গ্রেফতার করা হয় কয়েক'শ জনকে
পুলিশ প্রায় শতাধিক নেতা, কর্মীদের আটক করে দুর্গাপুর থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই মিছিলের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি ছিল না বলেই মিছিল আটকানো হয়েছে।
এই খবর আসানসোলে মিছিলের উদ্বোধন স্থলে এসে পৌঁছনো মাত্র সেখানেও বিক্ষোভ শুরু হয়। সেখানেও আটকে দেওয়া হয় মিছিল। প্রতিবাদে শুরু হয় অবরোধ। দাবি করা হয়, মুক্তি দিতে হবে নেতা কর্মীদের।
পুলিশি আশ্বাস পেয়ে অবরোধ তোলেন বাম ছাত্র যুব সংগঠনের নেতা কর্মীরা। নবান্নের স্মারকলিপি শেষপর্যন্ত পুলিশের হাতেই সঁপে দেন বাম ছাত্র-যুবরা।