''পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক। এর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করে যেতে হবে'', মঙ্গলবার বিজেপির সংসদীয় বৈঠকে এমনই বার্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। এদিন বৈঠকের আগে চার রাজ্যে দলের বিপুল সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিজেপির সংসদীয় দলের সদস্যরা।
উল্লেখ্য, পঞ্জাব বাদে বাকি চার রাজ্যের বিধানসভা ভোটেই সাফল্য পেয়েছে পদ্ম শিবির। উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গোয়া, মণিপুরে সরকার গড়ছে বিজেপি। বাইশের বিধানসভা ভোটের ফলের এই প্রভাব ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনেও পড়বে বলে আশাবাদী মোদী। এদিন বিজেপির সংসদীয় দলের সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দলের সাংসদের আরও উদ্যোগী হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন নমো। একইসঙ্গে পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির ক্ষতিকর প্রভাব নিয়েও দলের সাংসদের সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন তিনি বলেন, ''বিজেপি দলের সাংসদদের সন্তানদের বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট না দেওয়ার একটি সচেতন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কারণ, পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক। দলও এর বিরুদ্ধে।'' পাঁচ রাজ্যের মধ্যে চারটিতেই বিপুল জয় পেয়েছে বিজেপি। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যে-রাজ্যে দলের নেতা-কর্মীদের আলাদাভাবে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন- ‘এবার সরা উচিত গান্ধীদের’, সিবালের মুখে কেন RSS-BJP-র ভাষা?, প্রশ্ন রাহুল ঘনিষ্ঠের
এমনকী মোদী নিজে পাঁচটি রাজ্যে দলের সাংসদদের একটি টাস্কও দিয়েছিলেন। নিজ-নিজ নির্বাচনী এলাকায় সাংসদদের কমপক্ষে ১০০টি বুথ চিহ্নিত করতে বলা হয়েছিল। যেখানে বিজেপি তুলনামূলকভাবে কম ভোট পেয়েছিল। সেই বুথগুলি চিহ্নিত করে কম ভোট পাওয়ার কারণ জানারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সাংসদদের। বাজেট অধিবেশন ফের এক দফায় শুরুর পরে এটিই ছিল বিজেপির প্রথম সংসদীয় দলের সভা। এই সভায় মোদী এবং নাড্ডা দু'জনেই বক্তব্য রেখেছেন।
এদিনের এই বৈঠক প্রসঙ্গে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেন, ''মোদী বৈঠকে বলেছিলেন, দেশে পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির বিরুদ্ধে একটি পরিবেশ রয়েছে। জনগণের এই অনুভূতিকে সম্মান করেই বিজেপি নেতাদের পরিবারের সদস্যদের টিকিট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাঁর এই সিদ্ধান্তকে দলের নেতারাও সাধুবাদ জানিয়েছেন।''
Read story in English