'কাশ্মীরের বারামুলা কী অনন্তনাগে বদলি হয়ে গেলে চটিমণি, পিসিমণি কেউ আপনাদের বাঁচাতে পারবে না।' রেখে ঢেকে নয়, নজিরবিহীনভাবে একেবারের প্রকাশ্যে সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে এভাবেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার নন্দীগ্রামের বিধায়কের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করল জেলা পুলিশ।
মহামারী আইনে জমায়েত সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। এপ্রসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অমরনাথ কে বলেছেন, 'রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে বিরোধী দলনেতা পুলিশ প্রশাসনকে হুমকি দিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছেন। সরকারি কাজে বাধা দিচ্ছেন। ভেঙেছেন মহামারি আইন। ফলে মামলা হয়েছে।'
আরও পড়ুন- TMC-র পাল্টা এবার BJP, ২১ জুলাই ‘শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি’ গেরুয়া শিবিরের
ভোট-পরবর্তী হিংসা, বিজেপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া, ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে সোমবার তমলুকে পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে হাজির হয়েছিলেন বিজেপি কর্মীরা। যার নেতৃত্বে ছিলেন স্বয়ং শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই পুলিশ প্রশাসনকে নিশানা করেন তিনি। বিরোধী দলনেতা বলেন, 'রাজ্যের অশান্তি নিয়ে কোর্টে যেসব মামলা চলছে তাতে একাধিক পুলিশ কর্তার নাম রয়েছে। আপনাদের দিদিমণি, অভিষেক, কেউ বাঁচাতে পারবে না। বেছে বেছে আমাদের নেতা কর্মীদের মামলা দেওয়া হচ্ছে। এখনও সময় আছে সচেতন হন। না হলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার।'
আরও পড়ুন- স্মরণে ২১ জুলাই, শহরের বুকে বিশেষ ট্রাম
এরপর সরাসরি পুলিশ সুপারকে আক্রমণ করেন শপুভেন্দু। বলেন, 'আপনি সেন্ট্রাল ক্যাডারের অফিসার। এমন কিছু কাজ করবেন না যাতে করে কাশ্মীরের অনন্তনাগ বা বারমুলা গিয়ে ডিউটি করতে হয়। তখন চটিমণি পিসিমণি বাঁচাতে পারবেন না। মনে রাখবেন আপনার কাছে রাজ্য সরকার থাকলে আমাদের কাছে কেন্দ্রীয় সরকার রয়েছে।'
তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কোন পুলিশ কর্তাকে কী নির্দেশ দিচ্ছেন তার সব কল রেকর্ডও তাঁর কাছে রয়েছে বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। পেগাসাস বিতর্কের মাঝে বিরোধী দলনেতার কল রেকর্ড মজুতের দাবি ঘিরে তাই তুঙ্গে রাজনৈতিক তর্জা। শুভেন্দুকে গ্রেফতারের দাবি করেছেন তৃণমূলের রাজ্যের সবাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
এই মামলার নেপথ্যে মমতা সরকারের প্রতিহিংসাপরায়ণতা-কে দায়ী করেছেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন