কট্টর বিজেপি সমর্থকদের হুমকি! তৃণমূল বিধায়ককে 'সেন্সর' করল কমিশন

আসানসোল উপনির্বাচনের আগে জোর ধাক্কা খেল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।

আসানসোল উপনির্বাচনের আগে জোর ধাক্কা খেল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Narendranath Chakraborty

আগামী ৬ এপ্রিল পর্যন্ত ৭ দিনের জন্য সেন্সর করা হল নরেন্দ্রনাথকে।

কট্টর বিজেপি সমর্থক ভোটারদের হুমকি দিয়ে বিপাকে পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখে কড়া ব্যবস্থা নিল নির্বাচন কমিশন। আগামী ৬ এপ্রিল পর্যন্ত ৭ দিনের জন্য সেন্সর করা হল নরেন্দ্রনাথকে। ততদিন পর্যন্ত কোনও সভা, মিছিল, সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে পারবেন না বিধায়ক। আসানসোল উপনির্বাচনের আগে জোর ধাক্কা খেল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।

Advertisment

‘যাঁরা কট্টর বিজেপি, যাঁদের টলানো যাবে না, তাঁদের চমকাতে হবে। বিজেপি সমর্থকদের উদ্দেশে বলবেন আপনি যদি ভোট দিতে যান, তাহলে আমারা ধরে নেব বিজেপিকে ভোট দেবেন। ভোটের পর আপনি কোথায় থাকবেন সেটা আপনার রিস্ক।’ আসানসোলে উপনির্বাচনের আগে পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর এই হুমকি ঘিরে শোরগোল পড়েছে। ভাইরাল বিধায়কের হুমকি। যাকে কেন্দ্রে করে রাজ্য রাজনীতিতে উত্তাপ তুঙ্গে। সরব পদ্ম নেতারা। অস্বস্তি বেড়েছে শাসক শিবিরের।

অবশ্য যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই বিধায়কের অবশ্য দাবি ওই বক্তব্য বেশ কিছুদিন আগের। এবং গোটাটার দায় ঠেলেছেন পশ্চিম বর্ধমানের পূ্র্বতন তৃণমূল সভাপতি জিতেন্দ্রনাথ তিওয়ারির দিকে। আসানসোলের বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির দাবি, ‘আসলে বিধায়ক বুঝেছেন বিজেপির লোকরা ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে তৃণমূল হারবে। এই রকম হুমকি উনি না দিলেই ভাল হয়। আসলে এই নেতা অনুব্রত মণ্ডলের শিষ্য। অনুব্রত মণ্ডল হয়তো কিছুদিন পরে জেলে থাকবেন। এই পরিস্থিতি থাকলে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে লুডো খেলার জন্য আরও দু’তিনজন লাগবে। তখন হয়তো ওঁকে যেতে হবে।’

Advertisment

নরেন্দ্রনাথবাবুর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আসন্ন আসানসোল লোকসভা উপর্নিবাচনের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল বলেছেন, ‘বিধায়ক উস্কাচ্ছেন। কার্যত হিংসায় মদত দিচ্ছেন। প্রয়োজনে মারের বদলে মার হবে। ছেড়ে কথা বলব না।’ বিধায়কের মন্তব্যে বেকায়দায় জোড়া-ফুল শিবির। তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সভাপতি তথা আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেছেন, ‘সত্যি যদি এমন ভাষা বলে থাকেন, সেটা উচিত নয় । এটা আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে যায় না। উচ্চ নেতৃত্ব বিষয়টি দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন।’ তার মধ্যেই এবার কড়া ব্যবস্থা নিল নির্বাচন কমিশন।

tmc bjp Mamata Banerjee election commission