বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যে দিনপ্রতি ৪ লক্ষ টিকাকরণ। বুধবার নবান্নে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি দাবি করেন, ‘এখনও পর্যন্ত ৩৩ লক্ষ সুপার স্প্রেডার-সহ দু’কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। আগামিকাল থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ১২ বছর পর্যন্ত শিশুদের মায়েরা টিকা পাবেন।‘ এদিন টিকার বণ্টন নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, ‘আমরা কেন্দ্রের থেকে ৩ কোটি ডোজ চেয়েছিলাম। দু’কোটি আমরা নিতাম, এক কোটি বেসরকারি হাসপাতালকে দিতাম। কিন্তু কেন্দ্র পর্যাপ্ত টিকা পাঠায়নি।
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে কোভ্যাক্সিন নিয়ে তৈরি জটিলতা নিয়েও মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কোভ্যাক্সিন নিতে বলেছিলেন। অনেক পড়ুয়া সেই টিকা নিয়েছে। কিন্তু উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যেতে পারছেন না। কোভ্যাক্সিন যাতে সাড়া বিশ্বে গৃহীত হয়, সেটা দেখুক সরকার।‘এদিকে, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। এদিন নবান্নে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই আবহে রাজ্যে ঝুলে থাকা ৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন করিয়ে নিতে নির্বাচন কমিশনকে আবেদন করেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন তো পরিস্থিতি অনেকটাই ভাল। কমিশন চাইলে এখন ভোট করে নিতে পারে। আমি জানি, প্রধানমন্ত্রী বললেই কমিশন উপনির্বাচনের ঘোষণা করবেন। আমি তাই প্রধামন্ত্রীকে সেই উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ করব।’’
অপরদিকে, রাজ্যের মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোন প্রসঙ্গে মুখ্যসচিব বলেন, ‘রাজ্যজুড়ে ২৫০টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার নীতি বদলানোয় ভ্যাকসিনের জোগান কমেছিল। তৃতীয় ঢেউ আসার আগে শিশু চিকিৎসায় আরও জোর দেওয়া হচ্ছে। জুলাইয়ের মধ্যে শিশুদের জন্য বেডের সংখ্যা বাড়ানো হবে। জুলাইয়ের মধ্যে শিশুদের জন্য ১৩০০ আইসিইউ হবে। অক্সিজেন সরবরাহ বাড়াতেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন