মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া কমিশনের। পিছিয়ে গেল পাঞ্জাবের বিধানসভা ভোট। নির্বাচন কমিশন সোমবার ঘোষণা করেছে যে, ১৪ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন হবে। কমিশন জানিয়েছে, চলতি মাসের ২৫ জানুয়ারি ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হবে। তবে নির্বাচণের গণনা ১০ মার্চই হবে।
কমিশনের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'কমিশন রাজ্য সরকার, একাধিক রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে জানতে পেরেছে যে ১৬ ফেব্রুয়ারি শ্রী গুরু রবিদাসজি জয়ন্তী উদযাপিত হবে। সেই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য পাঞ্জাব থেকে বারাণসীতে বিপুল সংখ্যক ভক্তরা যাবেন। জানানো হয়েছে যে, অনুষ্ঠানের এক সপ্তাহ আগে থেকেই ভক্তরা বারাণসীর উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। ফলে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোট হলে বিপুল সংখ্যাক ভোটার ভোটদান থেকে বঞ্চিত হবেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন ১৬ ফেব্রুয়ারির ২০২২-এর বদলে ভোটদানের দিন ২০ফেব্রুয়ারি করল।'
গত ৮ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব , মণিপুর এবং গোয়ার ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র জানিয়েছিলেন, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি এক দফায় ভোটগ্রহণ হবে পাঞ্জাবের ১১৭টি আসনে। তারপরই ভোটের দিন নিয়ে আপত্তি জানায়নি কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি নিজে কমিশনের কাছে গত শনিবার রাজ্যে ভোটের দিন পিছোনোর আর্জি জানান। পরে একই দাবি জানিয়েছিল বিজেপি-ও।
শ্রী গুরু রবিদাসজি জয়ন্তী উদযাপণে মূলক তফসিলি জাতির মানুষই বেশি বারাণসীতে যান। মুখ্যমন্ত্রীর গত ১৩ জানুয়ারির চিঠিতে উল্লেখ ছিল যে, রাজ্যের মোট ভোটারের প্রায় ৩২ শতাংশ (২০ লক্ষ) তফসিলি জাতির ভোটার। ফলে তাঁদের অনেকেই ভোটের আগে থেকেই বারাণসীতে চলেযাবেন। এই অবস্থায় বহু ভোটারই তাঁদের গণতান্তিক আধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না। ফলে নির্বাচনের দিনক্ষণ পিছিয়ে দেওয়া হোক।
মুখ্যমন্ত্রী চান্নির চিঠি পাওয়ার পর শেষ পর্যন্ত পাঞ্জাব সরকারের আধিকারিক ও রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে আলোচনার পরই ধর্মীয় আবেগে মাণ্যতা দিল কমিশন। পিছিয়ে দেওয়া হল পাঞ্জাবের ভোটের দিন।
Read in English