দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই চার্জশিটে এক ভিডিওকলের কথা উল্লেখ করেছে ইডি। যে ভিডিওকলে কথা হয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও আবগারি সংস্থা ইন্দোস্পিরিটের মালিক সমীর মহেন্দ্রুর। এই সমীর মহেন্দ্রু দিল্লি আবগারি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত। ইডির দাবি, ওই ভিডিওকলে মহেন্দ্রুকে আম আদমি পার্টির কমিউনিকেশন ইনচার্জ বিজয় নায়ারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে বলেছিলেন খোদ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
রাউস অ্যাভিনিউ জেলা আদালতের স্পেশাল কোর্টে দাখিল হওয়া ইডির অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে যে বিজয় নায়ার এই মামলায় অনুঘটকের কাজ করেছেন। তিনি সমীর মহেন্দ্রু ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মধ্যে মুখোমুখি বৈঠকে বসার ব্যবস্থা করেছেন। ভিডিওকলে কেজরিওয়াল সমীর মহেন্দ্রুকে বলেছিলেন, 'সমীর আমার ছেলে। ওঁকে বিশ্বাস করতে পারেন। ওঁর সঙ্গে কাজ চালিয়ে যান।' কেজরিওয়াল অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। একইসঙ্গে জানিয়েছেন, ইডির চার্জশিটে যা বলা হয়েছে, সবটাই মনগড়া কাহিনি।
এক সাংবাদিক বৈঠক এই প্রসঙ্গে কেজরিওয়াল বলেন, 'এই সরকারের আমলে ইডি এখনও পর্যন্ত ৫,০০০ চার্জশিট দাখিল করেছে। সেসব মামলায় কতজনের সাজা হয়েছে? ইডির সব মামলাই জাল। এগুলোকে ব্যবহার করা হয় শুধু সরকার গড়তে ও ভাঙতে। ইডি দুর্নীতির অবসান ঘটাতে কোনও মামলা দায়ের করে না। বরং, সরকারকে ভাঙতে, বিধায়কদের কিনতে, সরকারকে ফেলে দিতে আর নতুন সরকার গঠনে সহায়তা করার জন্য মামলা দায়ের করে। ইডির এই চার্জশিট কল্পনাপ্রসূত অভিযোগের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে।'
ইডির চার্জশিটে বলা হয়েছে যে দিল্লির আপ সরকার আবগারি নীতিটি শীর্ষ আপ নেতাদের অবৈধ তহবিল তৈরি করতে তৈরি করেছিল। ইডি চার্জশিটে আরও জানিয়েছে যে, 'এইসব তথ্যগুলো উল্লেখ করা দরকার। কারণ, তথ্যগুলো অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। গোটাটাই আবগারি নীতি কেলেঙ্কারির সঙ্গে সম্পর্কিত।'
আরও পড়ুন- সেই মালদা, এবার দিনমজুরের বাড়ি থেকে উদ্ধার পাহাড় প্রমাণ টাকা
নায়ারের বিরুদ্ধে ইডি, 'দক্ষিণী গোষ্ঠী' থেকে ১০০ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করেছে। এই 'দক্ষিণী গোষ্ঠী'র সদস্য মাগুন্তা শ্রীনিবাসুলু রেড্ডি, রাঘব মাগুন্তা, শরৎ রেড্ডি এবং কে কবিতা। ইডির দাবি, এই ১০০ কোটি টাকার আর্থিক সাহায্য নায়ার এবং তাঁর সঙ্গী দীনেশ অরোরার সঙ্গে হায়দরাবাদের ব্যবসায়ী অভিষেক বোইনপলির যোগসাজশের মাধ্যমে আপের তহবিলে ঢুকেছিল।
Read full story in English