গান্ধী পরিবারের জামাই রবার্ট ভাদরার ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের বাড়িতে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের (ইডি) হঠাৎ হানা প্রসঙ্গে গর্জে উঠল কংগ্রেস। তাদের দাবি, 'অন্ধ প্রতিহিংসা' চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যেই এ কাজ করেছে মোদী সরকার। শনিবার দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দফতর থেকে বিজেপি-র উদ্দেশে তোপ দেগেছেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা বিশিষ্ট আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত এই সাংসদ এদিন বলেন, পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে বিপর্যয় নিশ্চিত বুঝতে পেরে মোদী সরকার ফের নোংরা খেলা শুরু করে দিয়েছে।
সোনিয়া-জামাতার ঘনিষ্ঠ বৃত্তে ইডির হানায় যে কংগ্রেস প্রচন্ড ক্ষুব্ধ, এদিন সিংভির সাংবাদিক সম্মেলন থেকেই তা স্পষ্ট। একের পর এক আক্রমণে মোদী সরকারকে বারবার নিশানা করেছেন এই পোড় খাওয়া আইনজীবী। তিনি বলেছেন, বিজেপির সরকার দুর্নীতি বিরোধী মুখোশ পরে থাকলেও, বিগত ৫৪ মাসে ঘটে যাওয়া একাধিক দুর্নীতি এখন সামনে আসছে। আর এইসব দুর্নীতির মূল পাণ্ডাদের একজনকেও ধরেনি সরকার। বরং, সংকীর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে ইডি বা সিবিআই-এর মতো সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করে অন্যায়ভাবে বিরোধী নেতা-নেত্রীদের হনস্থা করছে এই সরকার। ভদরা এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে বেআইনিভাবে ইডি-র এই হানা, সে ধরনেরই একটি ঘটনা।
উল্লেখ্য, প্রতিরক্ষা চুক্তিতে কমিশন নেওয়ার অভিযোগে শুক্রবার ভদরার সংস্থার সঙ্গে যুক্ত কয়েকজনের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। দক্ষিণ দিল্লির শুকদেব বিহার এলাকায় স্কাইলাইট হসপিটালিটি-র অফিসেও তল্লাশি চালানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এমন পদক্ষেপে নির্ভেজাল রাজনৈতিক প্রতিহিংসা দেখছে কংগ্রেস। অভিষেক মনু সিংভির কথায়, "ব্যক্তি আক্রমণ এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই যাবতীয় সাংবিধানিক, আইনি এবং প্রশাসনিক নিয়ম কানুনকে বুড়ো আঙুল দেখানো হচ্ছে"। এরপরই আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়িয়ে সিংভি বলেন, 'ইডি ও আয়কর দফতরকে মোদী সরকারের ব্যক্তিগত ভৃত্য এবং রাজনৈতিক দালাল বলে মনে হচ্ছে'।