মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে অপসারণের দাবিতে দায়ের করা জনস্বার্থ মামলা খারিজ করল দিল্লি হাইকোর্ট। এদিন আদালতে ইডিকে দূষে কেজরিওয়াল বলেন, গ্রেফতারির মাধ্যমে ইডি তার দুটি উদ্দেশ্য পূরণ করেছে। এক- আপকে ভোটের আগে বিপাকে ফেলা। দুই- গ্রেফতারির মাধ্যমে নির্বাচনে আগে বিজেপিকে ফায়দা দিতে চাঁদাবাজির র্যাকেট তৈরি করা। এপ্রসঙ্গে নির্বাচনী বণ্ডের মাধ্যমে রাঘব রেড্ডির ৫৫ কোটি টাকার অনুদানের কথাও উল্লেখ করেন কেজরিওয়াল।
দিল্লি হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণের দাবিতে দায়ের করা জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিয়েছে। আদালত বলেছে, কেজরিওয়ালকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে বিচার বিভাগের হস্তক্ষেপের কোন প্রয়োজন নেই। আমাদের রাজনৈতিক ক্ষেত্রে প্রবেশ করা উচিত নয়। এক্ষেত্রে বিভাগের হস্তক্ষেপের কোন সুযোগ নেই। সাংবিধানিক ভাবে কোন ব্যর্থতা প্রমাণ হলে এলজি তা খতিয়ে দেখবেন। তাঁর সুপারিশের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি সিদ্ধান্ত নেবেন।
'জেল থেকে সরকার চালাতে পারবেন না কেজরিওয়াল', এল-জি'র এমন মন্তব্যকে 'রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র' বলেই উল্লেখ করেছেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আজই ইডি হেফাজতে শেষে দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে হাজির করা হয় আফগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া কেজরিওয়ালকে। এদিন আদালতে আরও সাতদিনের ইডি হেফাজত চেয়ে আবেদন করেন ইডির আইনজীবী।
এল-জি ভি কে সাক্সেনার 'জেল থেকে সরকার চলতে পারে না' মন্তব্যের উপর একটি মিডিয়া প্রশ্নের জবাবে কেজরিওয়াল বলেন, "এটি একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। জনগণ যোগ্য জবাব দেবে।” তিনি বলেন, দুই বছর ধরে এ মামলা চলছিল, কিন্তু এখন আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কোন আদালত আমাকে দোষী সাব্যস্ত করেনি"। উল্লেখ্য, ২১ শে মার্চ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারের পর দিল্লির ক্যাবিনেট মন্ত্রী অতীশি বলেছিলেন, 'কেজরিওয়ালই মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন এবং প্রয়োজনে জেল থেকে দিল্লি সরকার চালাবেন তিনি'।