কয়লা পাচারকাণ্ডে সস্ত্রীক তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতিকে দিল্লিতে ডেকে পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর। আগামী ১ সেপ্টেম্বর হাজিরার জন্য ডাকা হয়েছে রুজিরা নারুলাকে। আর অভিষেককে ডেকে পাঠানো হয়েছে ৬ সেপ্টেম্বর। ইতিমধ্যেই তাঁদের কাছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নোটিসও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এর আগে কয়লা পাচারকাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়ি শান্তিনিকেতনে গিয়ে রুজিরা নারুলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। এছাড়াও, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অভিষেকের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীর, তাঁর স্বামী ও শ্বশুড়কেও।
জানা গিয়েছে একই মামলায় আগামী ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর ডেকে পাঠানো হয়েছে দুই আইপিএস অফিসার শ্যাম সিং ও জ্ঞানবন্ত সিংকে।
গোটা ঘটনাই বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের 'চক্রান্ত' বলে দাবি করেছে তৃণমূল শিবির। দলের মহাসছিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "অভিষেককে নির্দিষ্টভাবে টার্গেট করা হচ্ছে। তদন্তের নাম করে অভিষেক সহ তৃণমূলের সবাইকে যে টার্গেট করা হচ্ছে, এতে লাভ হবে না, বাংলার জনগন তা মেনে নেবেন না। কোনও অবস্থাতেই কোনও চাপের কাছে যুব নেতা অভিষেক মাথা নোয়াবেন না।" তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের কথায়, "আবার প্রমাণিত বিজেপি কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে সংকীর্ণ স্বার্থে ব্যবহার করছে। সর্বভারতীয়স্তরে অভিষেকের জনপ্রিয়তা দেখে বিজেপি ভয় পেয়েছে। তাই তাঁকে আটকাতেই এখন ইতির নোটিস ধরানো হচ্ছে।"
কিন্তু নয়াদিল্লিতে কেন অভিষেক ও তাঁর স্ত্রীকেডেকে পাঠালো ইডি? তা নিয়েই জোর চর্চা রাজ্য রাজনীতিতে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে ভোটের ফলাফলের পর নারদকাণ্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই মন্ত্রী ও এক বিধায়ক ও আরেক প্রাক্তন মন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। যাকে কেন্দ্র করে লকডাউন লঁঘন করেই কলকাতা সহ রাজ্যজুডড়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। বিক্ষোভ দেখা হয় নিজাম প্যালেসের বাইরে। সেই পরিস্থিতি এড়াতেই এবার বাংলার বাইরে তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আগ্রহী কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন