আবগারি নীতি মামলায় এবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ব্যক্তিগত সহকারিকে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। পাশাপাশি, তহবিল তছরুপ মামলায় আম আদমি পার্টির নেতা জেসমিন শাহকেও তলব করেছেন তদন্তকারীরা। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারি হলেন বিভব কুমার। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, আবগারি নীতি সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলায় বিভব উপস্থিত ছিলেন। আর জেসমিনকে এই নীতি তৈরির নির্দেশিকা গঠনের মামলায় তলব করা হয়েছে।
সিবিআইয়ের প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট বা এফআইআরের ভিত্তিতে ইডি গতবছর একটি মামলা রুজু করেছে। দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকেও এই মামলায় ইতিমধ্যে অভিযুক্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পাশাপাশি শুল্ক দফতরের তিন আধিকারিক, বিভিন্ন বিক্রেতা ও মদ পরিবেশকদেরও এই মামলায় অভিযুক্ত করেছে সিবিআই।
এফআইআরে ১৫ জন অভিযুক্তের নামও নথিবদ্ধ করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ডিরেক্টর প্রবীণকুমার রাই দিল্লি সরকারের আবগারি নীতির ব্যাপারে তদন্ত করার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ পাঠিয়েছিলেন। এফআইআরে বলা আছে, তিনি লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনাই কুমার সাক্সেনাকেও আবগারি নীতিতে বেনিয়মের অভিযোগে চিঠি দিয়েছিলেন।
এফআইআরে উল্লেখ আছে, সিসোদিয়া ছাড়াও শুল্ক কমিশনার আরভ গোপীকৃষ্ণ, প্রাক্তন ডেপুটি এক্সাইজ কমিশনার আনন্দ তিওয়ারি, অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সাইজ কমিশনার পঙ্কজ ভাটনগর দিল্লি সরকারের আবগারি নীতি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। ২০২১-২২ সালে ওই নীতি তৈরি হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সম্পূর্ণ অনুমোদন ছাড়া তৈরি হয়েছিল নীতি। সেই নীতিতে কিছু ব্যক্তিকে অগ্রাধিকার দিয়ে লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। শুধু, নিয়ম মানার ছলে লোকদেখানো টেন্ডার ডাকা হয়েছিল।
আরও পড়ুন- ‘রাহুল প্রধানমন্ত্রিত্বের যোগ্য’-‘মমতা গেমচেঞ্জার’! চাঁচাছোলা তৃণমূল সাংসদ
আম আদমি পার্টির অবশ্য অভিযোগ, মোদী সরকার দিল্লির বিরোধী দলের সরকারকে বিপাকে ফেলতে দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছে। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলোকে কাজে লাগাচ্ছে। সঙ্গে আপ নেতৃত্বের অভিযোগ, মিথ্যে অভিযোগ তুলে আপকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা চলছে। কিন্ত, অতীতে যেমন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা হাজারো চেষ্টা করেও আপকে বিপাকে ফেলতে পারেনি। এবারও পারবে না।