করোনা পরবর্তীতে একেবারে ছোট পড়ুয়াদের পড়াশোনায় মন বসানো দায়। ওদের একাগ্রতা হারিয়েছে সঙ্গেই নির্দিষ্ট ধরণের পড়াশোনা আর ভাল লাগার কথা নয়। প্রসঙ্গতই, দিল্লিতে কেজি এবং প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে নতুন ধরনের ক্লাসের আয়োজন করছে সরকারি স্কুলগুলি। আগামী দেড় মাস এই সম্পূর্ণ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে, স্কুলের পরিবেশে তাঁরা মানিয়ে নিতে পারছে কিনা কিংবা তাদের উন্নতি হচ্ছে কিনা এটিই ট্র্যাক করা হবে।
অনলাইন মোডে পড়াশোনা করার পর এই কিছুদিন তাঁরা স্কুলে ফিরেছে। আগামী ৫ই মে পর্যন্ত তাদের এই নতুন শিক্ষা ব্যাবস্থায় খতিয়ে দেখা হবে। তাঁরা কতটা শিখতে পারছে সেই নিয়েও বিবেচনা করা হবে। স্কুলের পরিবেশে তাদের মানিয়ে নেওয়ার স্বার্থেই পড়াশোনা এবং রুটিন মাফিক কাজকর্মের বাইরেও মজার কিছু বিষয় রাখা হবে, সহজ কথায় যাকে ফান অ্যাক্টিভিটি বলে। স্কুলগুলিতে জারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের পড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই তাদের মজা এবং ফান অ্যাক্টিভিটির মাধ্যমে শেখার ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করবেন শিক্ষকরা। শিক্ষার পরিবেশে আনন্দের মুহূর্ত রাখতে হবে । যদি শিক্ষার্থীর শিক্ষকের অতিরিক্ত সহায়তার প্রয়োজন হয়, তবে তাঁকে অবশ্যই সাহায্য করা হবে এবং ব্যাক্তিগত শিক্ষার পরিকল্পনা অনুসরণ করা হবে।
নানান কাজকর্মের মধ্যেই, কবিতা-ছন্দ মিলিয়ে গান- গল্প বলার ছলেই তাদের মানসিক ভাবে খুশি রাখা বাধ্যতামুলক। তাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া শিক্ষকদের কর্তব্য। সঙ্গেই সৃজনশীল কাজে তাদের নিযুক্ত করতে হবে। রং পেন্সিল হোক কিংবা ক্লে আর্ট- ওদের খেলার সুযোগ করে দিতে হবে। দ্বিতীয় ধাপে দেখা যাবে কতটা পরিমাণে একজন পড়ুয়া সম্পূর্ণ পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছে।
তাদের প্রশ্ন করা, কিংবা তাঁরা কতটা উত্তর দিতে সক্ষম হচ্ছে, কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে সেই সম্পর্কেই বিচার করা হবে। কিংবা কোনটি তাদের পছন্দ হচ্ছে, তাতে শিশুদের যোগদান এবং একাগ্রতা ভালভাবে থাকছে কিনা এটিও গুরুত্বপূর্ণ।