'নেতাজীকে ভোলানোর আপ্রাণ চেষ্টা হয়েছে।' কলকাতায় জাতীয় গ্রন্থাগারে দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে, 'সুভাষচন্দ্র বসুর কাজ, ওঁর আদর্শকে যতই ভোলানোর চেষ্টা হোক, তা কোনও মতেই মুছে যাওয়ার নয়' বলেও দাবি করেন শাহ।
Advertisment
শুক্রবার জাতীয় গ্রন্থাগারে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রক আয়োজিত ‘শৌর্যাঞ্জলি’ অনুষ্ঠানের সূচনা করেন শাহ। বাংলার নবজাগরনের মনীষীদের এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো হয়। সূচনা হয় সাইকেল ব়্যালির।
ওই অনুষ্ঠানেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমমন্ত্রী বলেছেন, 'সুভাষচন্দ্র বসু চিরস্মরণীয়। সকলের অনুপ্রেরণা। ইতিহাস দেখলেই ওঁর জনপ্রিয়তা উপলব্ধি করা যায়। গান্ধীজির ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে তাঁর মনোনীত প্রার্থীকে হারিয়ে কংগ্রেসের সভাপতি হয়েছিলেন। অথচ, এ হেন নেতার আদর্শকে ভুলিয়ে দেওয়ার বহু চেষ্টা হয়েছে।'
এরপরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'স্বাধীনতা আন্দলনে নেতাজির উদ্যোগ, দেশপ্রেম, আত্মত্যাগ দেশের আগামী প্রজন্মকেও অনুপ্রাণিত করছে। ফলে সুভাষচন্দ্র বসুর কাজ, ওঁর আদর্শকে যতই ভোলানোর চেষ্টা হোক, তা কোনও মতেই মুছে যাওয়ার নয়।' তাঁর কথায়, 'ভারতের যবক-যুবতীদের নেতাজির জীবন ও অবদান সম্পর্কিত বই পড়া উচিত। ওনার জীবনের যাত্রা আপনাদের সকলকে অনুপ্রেরণ জাগাবে। সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মদিন বড় করে উদযাপন করার যে সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী মোদী নিয়েছেন তা দেশে বড় পরিবর্তন আনবে।'
স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অবদান প্রসঙ্গে শাহ বলেন, 'হাসতে হাসতে ফাঁসির মঞ্চে ওঠা সহজ নয়। ক্ষুদিরামের মতো বিপ্লবীদের কথা তাই ভোলার নয়। স্বাধীনতা আন্দোলনে অনেকে সর্বস্ব উজাড় করে দিয়েছেন। সবার বলিদানের জোরেই স্বাধীনতা পেয়েছে ভারত। একবার ভাবুন সুভাষবাবু যদি কেরিয়ারের কথা ভাবতেন, তাহলে স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রেরণা কে দিতেন?'
নেতাজিকে নিয়ে বাংলা-বাঙালির আবেগ অমিত শাহের মত দুঁদে রাজনীতিকের অজানা নয়। তাই ভোটের আগে আবারও কৌশলে নেতাজি আবেগকেই পুঁজি করলেন বিজেপির 'চাণক্য'।