বিরাট ধাক্কা খেল উদ্ধব ঠাকরে শিবির। শুক্রবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ঘোষণায় এবার শিবসেনা নাম এবং নির্বাচনী প্রতীক দুই-ই হারাল উদ্ধব শিবির। এবার থেকে একনাথ শিণ্ডের শিবিরই হল প্রকৃত শিবসেনা। বালাসাহেব ঠাকরের জমানার তির-ধনুক প্রতীকও এবার পেল একনাথ শিবির।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, শিবসেনা নাম এবং প্রতীক কোনওটাই ব্যবহার করতে পারবেন না বালাসাহেব পুত্র উদ্ধবের শিবির। এই মুহূর্তে বিদ্রোহী শিবিরের নেতৃত্বে থাকা একনাথ শিণ্ডে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে রয়েছেন। সিংহভাগ বিধায়ক-সাংসদ তাঁর শিবিরে। একপ্রকার পরবর্তী লোকসভা নির্বাচন এবং বিধানসভা নির্বাচনে একনাথদের আর চিন্তা থাকল না। বর্তমানে বিজেপির সঙ্গে জোটে রয়েছেন তাঁরা।
অন্যদিকে, মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা পড়ল উদ্ধবদের উপর। একেই সরকার থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন। এবার দলের নাম ও প্রতীক দুই-ই গেল। একসময় বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে কংগ্রেস-এনসিপিকে নিয়ে মহাবিকাশ আঘাড়ি বানিয়ে মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় এসেছিলেন উদ্ধব। এবার দলের নাম এবং প্রতীক হারালেন দলেরই বিদ্রোহী বিধায়ক একনাথ শিণ্ডের কাছে। যিনি আবার বিজেপির সঙ্গে জোট করে কুর্সিতে বসেছেন। সুতরাং চার বছর পর আবার জুড়ে গেল শিবসেনা-বিজেপি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে মুম্বইয়ের দাদারে শিবসেনা ভবন কার দখলে থাকবে। সূত্রের খবর, সেনা ভবন দলের সম্পত্তি নয়। ট্রাস্ট পরিচালিত সম্পত্তি, যাঁর কৃতৃত্ব রয়েছে বালাসাহেব পুত্র উদ্ধব এবং তাঁর পরিজনদের হাতে। এদিকে, উদ্ধব শিবিরের মুখপাত্র আনন্দ দুবে নির্বাচন কমিশনকে বিজেপির এজেন্ট বলে কটাক্ষ করেছেন। বলেছেন, "যখন মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন তখন কী ভাবে কমিশন একনাথ শিণ্ডে শিবিরকে দলের নাম ও প্রতীক দিতে পারে?"
শিবসেনা মুখপাত্র এবং সাংসদ সঞ্জয় রাউত অবশ্য বলেছেন, "আমাদের কোও চিন্তা নেই। জনতা আমাদের সঙ্গে আছেন। আমরা নয়া প্রতীক নিয়ে নতুন করে শুরু করব। জনতার আদালতে এর বিচার হবে।"