'মুখ্যমন্ত্রী হওয়া গুরুত্বপূর্ণ নয়, নির্বাচনে জেতা গুরুত্বপূর্ণ, আমি নিজেও জানি না পরবর্তীতে কী হবে', মুখ্যমন্ত্রী গেহলটের বিরুদ্ধে এভাবেই নিজের প্রতিবাদ জারি রাখলেন শচীন পাইলট। ‘মুখ্যমন্ত্রীত্ব পদ আমাকে ছাড়ে না!’ সামনেই রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এমন মন্তব্য করে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন অশোক গেহলট।
চতুর্থবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রশ্নে গেহলট বলেছেন ‘আমি মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে চাই, কিন্তু এই পদ আমাকে ছাড়ছে না এবং সম্ভবত ছাড়বেও না’। তিনি বলেছিলেন যে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আমাকে বারবার মুখ্যমন্ত্রী পদে বসাচ্ছেন নিশ্চয় তার কোনও কারণ রয়েছে’।
গেহলটের এমন দাবির পালটা এবার আসরে কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলট। সম্প্রতি একটি সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, তিনি আত্মবিশ্বাসী যে রাজস্থানের মানুষ আবারও তাদের আশীর্বাদের হাত কংগ্রেসের মাথায় রাখবেন এবং কংগ্রেস পুনরায় ভোটে জয়ী হবে। এর পাশাপাশি তিনি বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী হওয়া গুরুত্বপূর্ণ নয়, নির্বাচনে জেতা গুরুত্বপূর্ণ, আমি নিজেও জানি না পরবর্তীতে কী হবে'।
রাজস্থানে নির্বাচনী প্রচার জোরদার হয়েছে। কংগ্রেস ও বিজেপি দুটি করে প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে। কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন এমন প্রশ্নে পাইলট বলেন, প্রথম অগ্রাধিকার হচ্ছে নির্বাচনে জেতা।
শচীন পাইলটের সঙ্গে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের সম্পর্ক তিক্ত। গেহলট তাঁর বিরুদ্ধে কংগ্রেসকে হারানোর মত মারাত্মক অভিযোগও এনেছিলেন। পাশাপাশি তাকে বিশ্বাসঘাতক বলেও কটাক্ষ করেছেন। শচীন পাইলট বলেছেন , “মল্লিকার্জুন খাড়গে বিরোধ ভুলে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন। আমাদের সকলকে এখন একসঙ্গে কাজ করতে হবে”। পাইলট বলেন, "আমাদের ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দগুলি পিছনে ফেলে রাজস্থানের মানুষের জন্য কাজ করে যেতে হবে। তাঁরা আমাদের কাছ থেকে অনেক বেশি’ই আশা করেন। "
শচীন পাইলট পুরোপুরি নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত। সরকার গঠিত হলে তাকে মুখ্যমন্ত্রী করার প্রশ্নে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে নির্বাচনে জেতা আমাদের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আগে নির্বাচনে জেতা নিশ্চিত করি তারপর দেখব কী হয়। তিনি বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি নির্বাচনে পুরোপুরি বিভ্রান্ত। বসুন্ধরা রাজেকে তার নিজের দলে জায়গা দেওয়া হচ্ছে না বলেও দাবি করেন পাইলট।
কংগ্রেস এখন পর্যন্ত দুটি তালিকা প্রকাশ করেছে। শনিবার প্রকাশিত প্রথম তালিকায় ৩৩ জন এবং রবিবার প্রকাশিত দ্বিতীয় তালিকায় ৪৩ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থাৎ কংগ্রেস এখন পর্যন্ত ২০০টির মধ্যে ৭৬ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে।