লোককে খুশি করতেই নাকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এখন ভোট বন্ধের কথা বলছেন। এমনটাই দাবি করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ।
করোনা বাড়লেও চার পুরনিগমের ভোট স্থগিতে রাজি নয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই ভোটের দিন ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্যও ভোটের পক্ষেই সওয়াল করেছে। এ দিকে কোভিড সুনামির মধ্যেও এদিনই পাঁচ রাজ্যের ভোট ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। কেন করোনাকালে ভোটের রমরমা? তা নিয়ে আগে থেকেই প্রশ্ন উঠেছে। বাংলার বিরোধী দলগুলি ভোট স্থগিতেরও আবেদন করেছিল। এবার কার্যত এতই সুর শোনা গেল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাদারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়।
সংক্রমণ বাড়ায় আগামী ২ মাস সব ধরণের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধের দাবি তুলেছেন অভইষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে, মানুষ প্রাণে বাঁচলে ভোট পরেও হতে পারে। অভিষেকের কথায়, 'এখন রাজনীতি, ধর্ম সব বন্ধ করা উচিত। এটা কোনও একটি রাজনৈতিক দলের বিষয় নয়। মানুষ বাঁচলে ভোট পরেও করা যাবে।' তবে, গোটাটাই তাঁর ব্যক্তিগত মত বলে স্পষ্ট করেছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। ভোট হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে কমিশন, হাইকোর্টে ও রাজ্য সরকারের উপর ছেড়ে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন- ‘আগামী দু’মাস সব কর্মসূচি বন্ধ হোক’, করোনা আবহে ভোট প্রসঙ্গে বললেন অভিষেক
এরপরই তৃণমূলের 'সেকেন্ড ইন কমান্ড'কে কটাক্ষ করেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, 'তৃণমূলের মহামন্ত্রী বললেন কমিশন বা রাজ্য সরকারের কি বলার আছে? উনি বলছে ভোট বন্ধ করা উচিত। আর তৃণমূলের সরকার কোর্টে বলেছে ভোট হোক। তাহলে করোনা আবহে ভোট নিয়ে তৃণমূলের প্রকৃত অবস্থান কী। ব্যক্তিগত অভিমত বলে উনি লোককে খুশি করতে বলছেন, নাকি ক্ষমতা ভোগ করতে চাইছেন সেটা দেখার।' দিলীপ ঘোষের দাবি, 'ওনাদের জন্যই তো মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরসভাগুলিতে দুই বছরের বেশি ভোট হয়নি। আর এখন কয়েক মাস ভোট পিছলে কীহবে? বিজেপি ভোট পিছনোর পক্ষে।'
সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ী ও কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্যও পুরভোট পিছনোর দাবি তুলেছেন। অভিষেকের কথার ভিত্তি রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচনে কমিশনর পদক্ষেপেই মিলবে বলে জানিয়েছেন এই দুই নেতা।