Advertisment

ক্ষমতার হাত বদল, তাই কি আটকে গেল জেলবন্দিদের পেনশন?

২০০০ জন পেনশনভোগীদের মধ্যে ৩০০ জন বিধবা মহিলাও রয়েছেন, যাদের স্বামী জরুরি অবস্থার সময়ে জেলে ছিলেন। ক্যাগের রিপোর্টেও এই প্রকল্প নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ নেই। তা সত্ত্বেও কেন স্থগিত রাখা হল পেনশন, প্রশ্ন তুলেছেন সোনি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

শাসক বদলালে এমনটা হওয়া খুব অপ্রত্যাশিত নয় এ দেশে। মধ্যপ্রদেশেও তাই-ই হল। ডিসেম্বরে ক্ষমতায় এল কংগ্রেস। সপ্তাহ দুয়েক কাটতে না কাটতেই আটকে দেওয়া হল কিছু মানুষের মাসিক পেনশন। কাদের? জরুরি অবস্থায় জেলবন্দি ছিলেন যারা, তাদের।

Advertisment

'লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ন সম্মান নিধি নিয়ম'-এর আওতায় ২০০০ জনকে মাসিক ২৫ হাজার টাকা মাসিক পেনশন দেওয়া হত। এরা প্রত্যেকেই জরুরি অবস্থা চলাকালীন ছিলেন জেলে। কমল নাথ ক্ষমতায় আসার পর আটকে দেওয়া হয়েছে তা।

কমল নাথ সরকারের এই পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই যথেষ্ট সমালোচিত হচ্ছে বিজেপি মহলে।

২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮য় জারি করা মধ্যপ্রদেশ সরকারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে সুবিধাভোগীদের যথার্থ পরিচয় এবং প্রকল্পের স্বচ্ছতা যাচাই করে সাম্মানিক মূল্য চালু করা হবে।

আরও পড়ুন, কংগ্রেসের কল্যাণে লক্ষণের বনবাসের অবসান?

এই প্রসঙ্গে রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ কৈলাস সোনি জানিয়েছেন, ওই ২০০০ জন পেনশনভোগীদের মধ্যে ৩০০ জন বিধবা মহিলাও রয়েছেন, যাদের স্বামী জরুরি অবস্থার সময়ে জেলে ছিলেন। ক্যাগের রিপোর্টেও এই প্রকল্প নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ নেই। তা সত্ত্বেও কেন স্থগিত রাখা হল পেনশন, প্রশ্ন তুলেছেন সোনি। পেনশনভোগীদের পরিচয় যাচাই প্রসঙ্গে তিনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, পেনশন যে ব্যাঙ্কের মাধ্যমে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে যায়, সেই কর্তৃপক্ষ প্রতি মাসে যথা সম্ভব যাচাই করেই কাজ সম্পন্ন করে। "একজনও পেনশনভোগী ভুয়ো নয়। কারণ আগে সংখ্যাটা ২৪০০ ছিল, এখন নেমে ২০০০ এ দাঁড়িয়েছে। এ থেকে স্পষ্ট, প্রক্রিয়া কতটা স্বচ্ছ। অনেক কংগ্রেসি সদস্যও তো এই সুবিধা পাচ্ছেন"।

কংগ্রেস নেতা নরেন্দর সালুজা এই প্রসঙ্গে বলেছেন, "বিজেপি অযথা মানুষের মনে সংশয় তৈরি করছে। পেনশন বন্ধ করার কথা একবারও বলা হয়নি। শুধু যথার্থ উপায়ে যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে।

Read the full story in English

Madhya Pradesh
Advertisment